পেনশন আন্দোলন
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভায় কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে কর্মবিরতিতে থাকা দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রবিবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম।
শিক্ষকরা বলছেন, পেনশন ইস্যুতে তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। একইসঙ্গে তারা আশা করছেন সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে তাদের দাবি পূরণ করবে।
আগের দিন শনিবার সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা।
ওই বৈঠকটি ‘সন্তোষজনক’ হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া।
বৈঠক শেষে অধ্যাপক নিজামুল হক বলেছিলেন শিক্ষকদের তিন দফা দাবি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে কথা বলে, শিক্ষক সমিতির সঙ্গে কথা বলে, সভা করে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
এরপর রবিবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন অনলাইনে (জুম) এ সভা করে তাদের কর্মবিরতি চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি আখতারুল বলেন, ‘আজকের সভায় গতকালের (শনিবার) বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যেহেতু আমাদের দাবি পূরণ হয়নি তাই আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে।’
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘ওই বৈঠকে আমাদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আমাদের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। তাই আশা করছি আমাদের দাবি পূরণ হবে।’
প্রসঙ্গত, সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। অন্যদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রশাসনিক ভবনে কোনো কাজ করছেন না। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা প্রকট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/ডিএম)

মন্তব্য করুন