মই বেয়ে উঠতে হয় কোটি টাকার সেতুতে, দুর্ভোগ চরমে 

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৩০| আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৩৯
অ- অ+

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় খালের ওপর নির্মিত একটি সেতুতে মই বেয়ে উঠতে হচ্ছে। যেখানে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে তার দু’পাশে এখনো করা হয়নি সংযোগ রাস্তা। এর ফলে আপাতত কোনো কাজেই আসছে না সদ্য নির্মিত এই সেতুটি। এতে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। খালে নেমেই চলাচল করতে হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পশ্চিমপাড়া মোন্তার বাড়ি খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। মূল অংশের নির্মাণ কাজ শেষ। তবে সেতুটির দুই পাশে নেই সংযোগ রাস্তা। খালের এক পাশে ৫ থেকে ৬ ফুটের বাঁশের মই দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোন্তার বাড়ি সংলগ্ন একটি খালের ওপর ১২ মিটার দৈর্ঘ্যের গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য গত বছরের ২ আগস্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিলাশ ট্রেডার্সকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

এর আগে গত ৯ নভেম্বর টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির এই ১২ মিটার সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এতে সেতুটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪২ টাকা। চূড়ান্ত ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৯৬১ টাকা। বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে।

ভুক্তভোগী স্থানীয় বাবুসহ অনেকে বলেন, ‘সেতুটির কাজ শেষ। বাকি রয়েছে সংযোগ রাস্তার কাজ। সেতুটিতে এখন ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে উঠতে হচ্ছে। মই দিয়ে উঠতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। সেতুর দু’পাশে আপাতত বালুমাটি দিয়ে ভরাট করা হলে চলাচলে কিছুটা হলেও ভোগান্তি কমবে। ব্যবহার করতে হবে না মই’।

কয়েড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার বলেন, ‘সেতুটির মূল কাজ শেষ হলেও দু’পাশে সংযোগ রাস্তার কাজ করা হয়নি। কাজ শেষে দু’পাশে সংযোগ রাস্তা করা হবে বলে জেনেছি’।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিলাশ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল বাছেদ বলেন, ‘সেতুটির কাজ শেষ। এখন শুধু দু’পাশে ১০০ ফুট সংযোগ রাস্তার কাজ বাকি। বন্যার কারণে নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছি। খাল থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেই কাজটি সম্পন্ন করে দেওয়া হবে’।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে এখনো চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়নি। তাই তাকে দিয়ে পুরো কাজ করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে’।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ জানান, ‘বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে’।

(ঢাকা টাইমস/০৪আগস্ট/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মিরপুরের শ্যামল পল্লী বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
শ্রীপুরে চায়না-৩ জাতের লিচুতে চাষির মুখে হাসি
নামাজের শিক্ষা ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্র গঠনে আত্মনিয়োগ করতে হবে: জামায়াত আমির
মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ডলার 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা