মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের পর ব্রডব্যান্ডেও ধীরগতি
সাত দিনের মাথায় ফের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের ফলে আবারও বিড়ম্বনায় পড়েছেন ফ্রিলান্সাররা। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ্যের মধ্যেই ধীর গতি চলে এসেছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে। ফলে ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও সংস্থার কার্যকরে আবারও স্থবিরতা নেমে আসার আশংকা তৈরি হয়েছে।
রবিবার দুপুরে মোবাইর ইন্টারনেট ফোর-জি বন্ধের খবর পাওয়া যায়। একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ফোরজি সেবা বন্ধের নির্দেশনা তাদের কাছে এসেছে।
দুপুর ১২টার পর সরকারি একটি সংস্থার নির্দেশে ফোর–জি সেবা বন্ধ করা হয়। একইসঙ্গে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ করিনি।’
দুপুর আড়াইটার দিকে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। পলক বলেন, বন্ধের কোনো নির্দেশও দেইনি। কোথাও কোথাও ইন্টারনেটের সমস্যা হচ্ছে। এটা আমাদের নির্দেশনার কারণে নয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল ও ইন্টারনেট পরিচালনার অনেক স্থাপনায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে। অনেক জায়গায় হামলা চলছে। ফাইবার ক্যাবল কেটে দেওয়া হচ্ছে। আজও আমাদের কয়েক জায়গায় আগুন দেওয়া হয়েছে। অনেক এলাকায় কেটে ফেলা হয়েছে। এমন তাণ্ডব চালালে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ করাতো সম্ভব নয়।’
এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীর শাহবাগসহ কয়েক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু হয়। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই ফেসবুকও চালু করা হয়েছিল।
(ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/এএইচ/এসআইএস)