বিশ্বম্ভরপুরে শিক্ষার্থী-পুলিশ-আ.লীগ সংঘর্ষে আহত শতাধিক
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনে রবিবার সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল ছোড়ে। সংর্ঘষে সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের হাসপাতাল ও থানার মধ্যস্থলে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এখনো উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে এদিন সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক শুক্কুর আলীকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনার প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার বেলা ১১টার দিকে দিগেন্দ্র বর্মন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে যায়। অন্যদিকে উপজেলা জয় বাংলা চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বিশ্বম্ভরপুর থানার সামনে এলেই আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাকাঁ গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
এক প্রর্যায়ে শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয় পক্ষই ইট পাটকল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ, শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মীরা আহত হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে ৫৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত দুজন শিক্ষার্থীকে সুনামগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/এজে)