হারুন কি মার্কিন গ্রিনকার্ডধারী, আর কত পুলিশ কর্মকর্তা এমন?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১৭:২৭
অ- অ+

তিনি ছিলেন পুলিশের সবচেয়ে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের অন্যতম। তার বিরুদ্ধে সমাজের নানা শ্রেণির বিশেষ করে ধনিক মানুষকে নানাভাবে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়ের এন্তার গল্প শোনা যায়। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ভয়ানক হয়রানির অভিযোগের অন্ত নেই এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। একজন সরকারি চাকুরে হিসেবে তার এই অন্যায় ও বেপরোয়া আচরণে কখনো কখনো সরকার ও পুলিশকেও বিব্রত করেছে। আবার সরকারের অন্যায় সুবিধাও বেশি বেশি পেয়েছেন ডিএমপি ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ।

তাকে নিয়ে একটা কথা প্রচলিত ছিল, কোনো কারণে সরকারের পরিবর্তন হলে বড় হিসাব চুকাতে হবে এই ডিআইজিকে। এটা তিনি নিজেও বিশ্বাস করতেন বুঝি। তাই আগাম ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। ডিভি১ ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসা নিয়ে রাখেন হারুন।

ঢাকাটাইমসের কাছে তার পাসপোর্ট-ভিসার একটি ফটোকপি এসেছে। তাতে দেখা যায় তার নাম মুহাম্মদ হারুন রশিদ। যদিও সরকারি চাকরিতে তার নাম আমরা জানি হারুন অর রশিদ। ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকার পারমানেন্ট রেসিডেন্ট। তার পাসপোর্ট নম্বর ০০৯-৪৬৮-৪৪১, ভিসা ক্যাটাগরি ডিভি১। জন্ম ২৯ জানুয়ারি ১৯৭৪। তিনি এটি ২০০৮ সালে পান। মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত।

এর মধ্য দিয়ে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এই ডিআইজির আর একটি বেআইনি কাজ সামনে এল। সরকারি চাকরিকালে ভিনদেশের পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট হওয়া আইনবিরুদ্ধ হলেও তিনি নাম কিছুটা পরিবর্তন করে সেই কাজই করেছেন।

এই ভিসা কাজে লাগিয়ে গতকাল দেশ থেকে পালাতে চেয়েছিলেন হারুন। একটি সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে তিনি মাস্ক পরে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পালানোর উদ্যোগ নেন।

সোমবার অনেকটা সময় পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গেই ছিলেন হারুন। দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীর টপকে সিটি করপোরেশনের দিকে চলে যান তিনি। এরপর তিনি সাধারণ পোশাকে জনসাধারণের মধ্যে মিশে একটি দেশের দূতাবাসে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে যান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কিন্তু পালাতে ব্যর্থ হন। গতকালই দিনের কোনো এক সময় বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় রাষ্ট্রীয় একটি বাহিনী।

ডিআইজি হারুন অর রশিদের মতো আরও কত পুলিশ কর্মকর্তা এভাবে ভিন্ন দেশের পার্মানেন্ট রেসিডেন্টশিপ নিয়ে রেখেছেন, সেই প্রশ্ন এখন সামনে আসছে।

সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা ডিএমপির সাবেক একজন কমিশনার মার্কিন পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট। সেটি তিনি সরকারি চাকরিতে থাকতেই অর্জন করেন। তার ভিন্ন নামে একাধিক পাসপোর্ট থাকার কথাও জানা যায়।

এক সাবেক আইজিপি তো সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তার তুরস্কের নাগরিকত্ব সহ বিভিন্ন দেশের ভিসা থাকার খবর প্রচারিত হয় গণমাধ্যমে। তারও অন্তত ছয়টি পাসপোর্ট রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নামের এদিক-সেদিক করে এসব পাসপোর্ট বানান।

(ঢাকাটাইমস/৬আগস্ট/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর: তাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তবুও বহাল...
পাকিস্তান থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে ফেরানো হবে রিশাদ ও নাহিদকে!
মেঘনায় অনুমোদনহীন ডেন্টালে জীবাণুযুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার, ছড়াচ্ছে হেপাটাইটিস বি
ই-হজ সিস্টেমে ভিসা বাতিল করার অপশন চালু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা