নোয়াখালীতে লুট হওয়া থানার অস্ত্র সেনাবাহিনীর কাছে ফেরত দিলো শিক্ষার্থীরা
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় হামলার সময় লুট হওয়া পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দিলো দুই শিক্ষার্থী। বর্তমানে অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।
বুধবার বিকাল ৪টার দিকে ক্যাপ্টেন মো. ইফতেখারের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন, সেনাবাহিনীর নোয়াখালীর মাইজদী ক্যাম্পের টুআইসি মেজর রিফাত আনোয়ার।
তিনি বলেন, অস্ত্রগুলোর মধ্যে দুটি শর্টগান, একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, একটি পিস্তল ও একটি দোনলা বন্দুক ছিল। বর্তমানে অস্ত্রগুলো তাদের হেফাজতে রয়েছে এবং পরবর্তীতে এগুলো পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৫ আগস্ট) বিকালে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর সোনাইমুড়ী বাইপাসে আনন্দ মিছিল করে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বিকাল ৫টার দিকে আনন্দ মিছিল থেকে সোনাইমুড়ী থানাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে থানায় হামলার চেষ্টা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। ওইসময় থানার ছাদ থেকে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পুলিশ। এসময় হামলাকারীরা থানার ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে এবং পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার সময় ও পরবর্তীতে থানায় ব্যপক লুটপাট চালানো হয়।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে সোনাইমুড়ী থানার এসআই বাছির, এএসআই নাছির, কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন ও গিয়াস উদ্দিন আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন, ইয়াছিন (১৪), তানভীর (২৪), ইয়াছিন মিয়া (২৩), রাফি (১৮), কাউসার মিয়া (১৯) ও শামীম (২৫)। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা বা দপ্তর থেকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
সেনাবাহিনীর নোয়াখালীর মাইজদী ক্যাম্পের টুআইসি মেজর রিফাত আনোয়ার বলেন, বিকালে দুইজন শিক্ষার্থী আমাদের পুলিশের অস্ত্রের বিষয়ে তথ্য দেয়। অস্ত্র হস্তান্তর করা শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অস্ত্রগুলো তাদের কাছে দিয়ে গেছে। পরবর্তীতে অস্ত্রগুলো সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/পিএস