দেশের মানুষের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে সর্বাগ্রে

আনিসুর রহমান খান
| আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৭ | প্রকাশিত : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:০৭

এটি খুবই স্বস্তিদায়ক খবর যে- আজ রাত ৮টার দিকে বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। এই সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খল অবস্থা দূর হবে বলে সবাই আশা করছে। এটা সকলেই অনুধাবন করছে যে- কী এক অস্বাভাবিক নৈরাজ্য ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ গত কয়েকদিন কাটিয়েছে এবং এখনো কিছুটা কাটাচ্ছে। এখনো যে দেশের সর্বত্র শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে তা কোনোভাবেই বলা যায় না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার সাথে সাথে যে দেশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকতার দিকে অগ্রসর হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতোমধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছেন এবং তা সকলের দ্বারা গৃহীতও হয়েছে। রাষ্ট্রপতির এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান নির্বাচন সকল দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষও সর্বজন শ্রদ্ধেয় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরকারপ্রধান করায় ভীষণ আনন্দিত হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ দুপুরে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। এদিকে সেনাপ্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন- আজ সন্ধ্যায় যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। সকলেই আশা করছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অভিজ্ঞ দিকনির্দেশনায় এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনায় বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিন মাসের মধ্যেই একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন উপহার দেবে- এটাই সকলে আশা করছে। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কাজ যেভাবে এগিয়ে চলছে তাতে নবগঠিত এই সরকার সকলের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে নিশ্চয়ই।

এটা সকলেই অত্যন্ত কঠিন বস্তাবতার মধ্য দিয়ে অনুধাবনে সক্ষম হচ্ছে যে- কী এক নিদারুণ ও ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ আজকে এই বাস্তবতায় এসে পৌঁছালো। এখনো দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সহিংসতাপূর্ণ ও নাশকতার ঘটনা ঘটে চলেছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার দরুণই নাশকতা আরো বেড়ে চলেছে বলা যায়। সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ভয়ানকভাবে বেড়ে গিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্তিতিতেই যে এই অপরাধগুলো বেড়ে গিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম আজকে সন্ধ্যার মধ্যে দেশের সকল পুলিশ সদস্যকে যার যার নিজ কর্মস্থলে যুক্ত হওয়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করা যায়, পুলিশ সদস্যরা দেশের বিভিন্ন থানায় যোগ দেওয়ার পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে। বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার পরে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন দেশের আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটা অবনতিশীল হতে দেখা যায়নি কখনো এর আগে। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয়ে যাওয়ার পরে দেশজুড়ে যে নাশকতা ও নৈরাজ্য সংগঠিত হলো এবং এতে যে বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটলো তা সত্যিই অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্য। কয়েকদিনের মারাত্মক সহিংসতা ও আক্রমণে বিরাট সংখ্যক পুলিশ সদস্যেরও প্রাণহানি ঘটেছে। নাশকতাকারীরা এমনই সংবদ্ধভাবে আক্রমণ চালিয়েছে যে- তারা থানা আক্রমণ করে পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাদের নিমর্মভাবে হত্যা করেছে। দেশের আইনশৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীকে এভাবে দুর্বৃত্তরা নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াস চালাতে পারে না। একটি স্বাধীন দেশে এত বড়ো সহিংসতা চলতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর এই নাশকতাকারীদের যদি বিচারের আওতায় না আনা যায় তাহলে দেশে আরও ভয়ংকর নৈরাজ্য ও সহিংসতা ঘটবে। আর এই সময়ে রাজধানীসহ সারা দেশে যে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও লুটতরাজ চলছে তা বন্ধ করতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই।

সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে স্পষ্ট বলেছেন যে- তিনি এখন থেকেই সবকিছুর দায়িত্ব নিচ্ছেন। দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ ও ক্রান্তিকালীন মুহূর্তে তাঁর বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নিশ্চয়ই। তিনি অভ্যুত্থান-উত্তর সার্বিক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি যথাযথ অনুধাবন করেই নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশের যে অস্থিতিশীল অবস্থা বর্তমান রয়েছে তাতে সেনাাবাহিনীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশে কেন অতি অল্প সময়ের মধ্যে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো তা বুঝতে এখন আর কারো বাকি নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিক্ষার্থীরা যখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন, আন্দালনের সেই প্রাথমিক পর্যায়ে গত ১৪ই জুলাই শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে খুবই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিলেন। একটি ন্যায়সংগত ছাত্র-আন্দোলনকে তিনি নিদারুণভাবে অবজ্ঞা করেছিলেন। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি সরাসরি না হলেও প্রচ্ছন্নভাবে ‘রাজাকার’ শব্দটিও ব্যবহার করেছিলেন। বলার অপেক্ষা রাখে না- শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর বক্তব্যে চরম একগুঁয়েমি ও অহংকারের বিষয়টিই প্রকাশ পেয়েছিল। এরপরই শিক্ষার্থীরা ভয়ানকভাবে ফুঁসে ওঠেন এবং সারা দেশে দাবানলের মতো আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ই জুলাই রাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চীন সফর বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সূত্র ধরে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ এ ধরনের স্লোগান দেয়। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য অনেকটা সক্রেটিক আয়রনির মতো ছিল। অর্থাৎ প্রাধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে যেমন বলেছিলেন- ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে। তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না।’ এই বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আয়রনির মতো করে অর্থাৎ বিপরীতধর্মী শ্লেষপূর্ণ বক্তব্যের আদলে নিজেদের রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করে এই স্লোগানগুলো দিয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই স্লোগান মোটেও নিজেদের ‘রাজাকার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দেয়নি। বরং তাদের বক্তব্যকে আরো জোরালোভাবে প্রকাশ করতেই তারা এই শ্লেষপূর্ণ বিপরীতধর্মী স্লোগানগুলো দিয়েছে। এতে তো দোষের কিছু ছিল না।

মনে রাখতে হবে- শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনটা কোনোভাবেই কোটাবিরোধী ছিল না- ছিল মূলতই কোটা-সংস্কারের। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কখনোই বলেনি যে- নারী কোটা, জেলা কোটা, পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী বা আদিবাসী কোটা কিংবা প্রতিবন্ধী কোটা বাদ দেওয়া হোক। তারা বলছিল মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিদের জন্য যে ৩০% কোটা নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে, এটাকে কমানো হোক। যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেরা এবং তাঁদের সন্তান-সন্তুতি পর্যন্ত সরকারের দেওয়া যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন কিংবা এখনো পেয়ে আসছেন- এটা নিয়ে তো কারো মধ্যে কোনো প্রশ্ন দেখা দেয়নি। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধার তৃতীয় প্রজন্ম অর্থাৎ তাঁর নাতি-নাতনির জন্যও ঠিক একই রকম সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে কেন- এখানেই এসে কোটা-সংস্কারের বিষয়টি সামনে চলে আসে। আর দেশের কোনো মুক্তিযোদ্ধাই তো এই দাবি করেনি যে, তাদের নাতিপুতিদেরও সরকারি কোটায় চাকরি দিতে হবে। বরং অনেক মুক্তিযোদ্ধাই কোটা-সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বলেছেন- ‘আমরা আমাদের নাতিপুতিদের এই কোটা পদ্ধতির সুবিধাপ্রাপ্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি।’

শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে আন্দোলন যতই দমানোর চেষ্টা করা হয়েছে ততই এই গণ বিস্ফোরণ আরও জোড়ালো হয়ে ওঠেছে। ন্যায়সংগত সেই আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে শক্তি প্রয়োগ করায় গত ১৭ই জুলাই থেকে কয়েক দিনে সারা দেশে শত শত প্রাণহানি ঘটে। এরপর সেনাবাহিনী নামিয়ে কারফিউ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। তবে শিক্ষার্থীরা শেষ পর্যন্ত সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়। শেষ পর্যন্ত কী অভিজ্ঞতা পেলো এই বাংলাদেশের মানুষ তা সকলেরই জানা। বিপুলসংখ্যক প্রাণহানি, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, দুর্বৃত্তদের দ্বারা অগ্নিসংযোগ, বিভিন্ন স্থাপনা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি নাশকতা, নৈরাজ্য ও সহিংসতায় দেশের বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হলো।

মূলত দীর্ঘদিন ধরে একচ্ছত্র ক্ষমতার ব্যবহারে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনায় দেশের ভেতরে একা হয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘ ও একক স্বৈরশাসনে সবাইকে একরকম খেপিয়ে তুলেছিলেন শেখ হাসিনা। তাঁর একগুঁয়েমিপনা, অহংকার ও দম্ভই তাঁর সরকারের পতনের জন্য দায়ি। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার, মূল্যস্ফীতি ও অর্থনীতির মন্দা এবং নিরঙ্কুশ ক্ষমতাপ্রয়োগের দুঃসহ পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে সেটা হলো এখানে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। সকলের অংশগ্রহণের ফলে শেষ পর্যন্ত কোটা-সংস্কারের এই আন্দোলনটি আর কোনো একক আন্দোলন থাকেনি। তা হয়ে ওঠেছিল সর্বস্তরের মানুষের। শেখ হাসিনার অনুধাবন করা প্রয়োজন ছিল সর্বস্তরের মানুষের মিলিত যে গণ-আন্দোলন তাকে ঠেকিয়ে রাখা যায় না।

শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার একগুঁয়েমি ও হঠকারিতার মাশুল গুনতে হলো দেশের সাধারণ মানুষকে। এখনো যে অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্যপূর্ণ পরিস্থিতি রয়েছে দেশজুড়ে- তা দূর করতে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, লুণ্ঠনের যে ভয়াবহ খবরগুলো সংবাদমাধ্যমে আসছে তা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের মানুষের অনিরাপদ অবস্থা বেশি সময় ধরে চলতে পারে না। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের অব্যবহিত পরে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধান জনগণের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করতে জাতির উদ্দেশে যে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন মূলত প্রয়োজন তারই সুষ্ঠু ও সঠিক বাস্তবায়ন।

আনিসুর রহমান খান: কলাম লেখক, গীতিকবি ও সংগঠক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :