ভারত আমাদের শত্রুদের সহায়তা করলে পারস্পরিক সহযোগিতা কঠিন হবে: গয়েশ্বর

বিএনপি সব সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে গঠিত একটি দল এবং এই দল সব ধর্মের মানুষের পক্ষে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, এই দল ক্ষমতায় থাকতে আমি মন্ত্রী ছিলাম।

শেখ হাসিনাকে আশ্রয় প্রদান প্রসঙ্গে ‘ভারত আমাদের শত্রুদের সহায়তা করলে পারস্পরিক সহযোগিতা কঠিন হয়ে যাবে’ বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুক্রবার এনডিটিভি অনলাইনে তার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।

এসময় ‘ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে ভারতের কি পুরো দেশের (বাংলাদেশ) বদলে শুধু একটি দলকে এগিয়ে নিতে কাজ করা উচিত?’ এনডিটিভিকে এমন প্রশ্নও ছোড়েন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে গয়েশ্বর বলেন, ‘বিএনপি হিন্দুবিরোধী বলে একটি ধারণা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি সব সম্প্রদায়ের নিজস্ব অধিকারে বিশ্বাস করে।’

বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ ও বিএনপি সংখ্যালঘুবিরোধী বলে যে ধারণা রয়েছে— সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় বিএনপির এই সংখ্যালঘু ধর্মীয় নেতার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি হিন্দুবিরোধী বলে একটি ধারণা তৈরি করা হয়েছে। তবে বিএনপি সব সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে গঠিত, সব ধর্মের পক্ষে দাঁড়ায়। এই দল ক্ষমতায় থাকাকালে আমি মন্ত্রী ছিলাম। আর বর্তমানে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে যথেষ্ট উচ্চপর্যায়ে রয়েছি। বিএনপি একটি জাতীয়তাবাদী দল। সব সম্প্রদায়ের নিজস্ব অধিকারে আমরা বিশ্বাস করি।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনারা (ভারত) যদি আমাদের শত্রুদের সহায়তা করেন, পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কের প্রতি সম্মান দেখানো কঠিন হয়ে পড়বে। আমাদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী (হাসিনা সরকারে) সর্বশেষ নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় ফিরতে সহায়তা করবে ভারত।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনাকে ভারতের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কে বিশ্বাস করে। ভারত সরকারকে এই চেতনা বুঝতে হবে এবং সে অনুযায়ী আচরণ করতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/০৯আগস্ট/এসআইএস)