মানিকগঞ্জে কেজিতে ১৪০ টাকা কমলো মরিচের দাম

মানিকগঞ্জে বিভিন্ন খুচরা সবজির বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে কমে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক দিনের ব্যবধানে কমেছে ১৪০ টাকা। ফলে ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মানিকগঞ্জের ভাটবাউর সবজির আড়তে রবিবার প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। যা শনিবারের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। অন্যদিকে ১৮০ টাকা কেজি দরের মরিচ মানিকগঞ্জের পৌর কাঁচাবাজার, শহরের নিমতলী বাজারে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। এই দাম কমা এবং বাড়ার বিষয়টি এখন ক্রেতাদের মুখে মুখে।
এক দিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কেন উঠানামা করছে– এই প্রশ্নের জবাবে ভাটবাউর সবজির আড়তের ব্যবসায়ী আলী হোসেন জানান, ‘মূলত দুই কারণে মানিকগঞ্জে কাঁচামরিচের দাম উঠানামা করছে। প্রথমত, মানিকগঞ্জে স্থানীয়ভাবে যেসব স্থানে মরিচ উৎপাদিত হতো সেসব খেতের গাছগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। যার জন্য স্থানীয়ভাবে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয়ত, মানিকগঞ্জ এখন আমদানিকৃত মরিচের ওপর নির্ভরশীল। শুক্রবার ও শনিবার ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে এবং রবিবার আমদানি হওয়ায় মরিচের দাম আবার কমেছে।
শহরের নিমতলী বাজারের খুচরা বিক্রেতা লাভলু জানান, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় হু-হু করে কাঁচামরিচের দাম বাড়ে, আবার সরবরাহ থাকলে দাম কম থাকে। কোনো সবজির দাম বেশি বাড়লে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়তে হয় আমাদের। ক্রেতারা ভাবে আমরা ইচ্ছামতো নিজেরাই দাম বাড়িয়েছি।
ক্রেতা আসাদুজ্জামান বলেন, বাজারে যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম উঠানামা করছে তাতে আমাদের অবস্থা খুবই নাজুক। গতকাল শুনেছি মরিচপ্রতি কেজি ৩৮০ টাকা, আবার আজ দেখি ২৪০ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে এই মরিচ কিনেছিলাম ১৮০ টাকা করে। কাঁচামালের দাম এমন উঠানামা করলে আমাদের কী অবস্থা হয় বলেন?
কাঁচামরিচ কিনতে গিয়ে রীতিমতো বিস্মিত স্কুল শিক্ষক লিটন আলী। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সব সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বাড়তি। ৩৮০ টাকা কেজি কাঁচামরিচের দাম শুনে বাজারে এসে দেখি আজ ২৪০ টাকা কেজি। তাই এক পোয়ার পরিবর্তে আধা কেজি কিনলাম, আবার যদি বাড়ে। দাম বাড়ার সাথে সাথে বাজারের পরিমাণ অর্ধেকে নামাতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। এমন ভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমরা কোথায় যাবো। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে।’
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ‘কাঁচামরিচ আমদানি নির্ভর হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে আমদানি হওয়ায় আজ কমেছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচামরিচের সরবরাহ না থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। আমাদের বাজার মনিটরিং নিয়মিত হচ্ছে। আশা করছি বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দাম স্থিতিশীল থাকবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এজে)

মন্তব্য করুন