আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে কর্মপদ্ধতি, হারিয়ে যাচ্ছে কাঠের তৈরি তাঁত

হাতে বোনা তাঁতের কাপড়ের জন্য বিখ্যাত ছিল সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা। এখানকার প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল। এখনো আছে। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে তাদের কর্মপদ্ধতি, বদলে গেছে জীবনমান। হারিয়ে যাচ্ছে কাঠের তৈরি ঐতিহ্যবাহী সেই তাঁত।
এ অঞ্চলের পুরুষ থেকে নারী, শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই তাঁতি পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত। অধিকাংশ ব্যবসা তাঁতিদের তৈরি কাপড়ের ব্যবসার উপর নির্ভরশীল।
তাঁতিদের ঐতিহ্য ছিল কাঠের তৈরি তাঁতে কাপড় তৈরি করা। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এগুলো এখন বিলুপ্তপ্রায়। বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ চালিত তাঁত তাঁতিদের কাছে অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে অনেক উন্নতমানের কাপড় লুঙ্গি-শাড়ি তৈরি হওয়ায় দেশ ও বিদেশে প্রচুর জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে। তবে বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে তৈরি মেশিনের কারণে কর্মসংস্থান হারিয়েছেন অনেকে। আগেকার সময়ে একটি কাঠের তৈরি তাঁতে একজন শ্রমিক কাজ করতো। আর এখন পাওয়ারলুম নামক দুটি আধুনিক মেশিনে একজন শ্রমিক কাপড় তৈরি করে। এতে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়লেও লাভবান হচ্ছেন মিল মালিকেরা।
উপজেলার জামিরতা গ্রামের কিছু তাঁত শ্রমিক জানান, আগের তুলনায় এখন ইনকাম একটু বেশি হচ্ছে। কারণ একজন শ্রমিক দুটি মেশিনে কাপড় তৈরি করতে পারছেন । তবে বাজার মূল্যের তুলনায় তাদের মজুরি কম বলে জানিয়েছেন।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগের তুলনায় এখন কাপড় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এর সঙ্গে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে তারা লাভবান হতে পারছেন না।
তাদের মতে, আগেকার দিনের কাঠের তৈরি তাঁতে উন্নতমানের কাপড় তৈরি সম্ভব না। এ জন্য খরচ বেশি হলেও কিছু করার নেই।
(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/পিএস)

মন্তব্য করুন