নির্যাতিত হওয়ার কারণে আপনারা কেউ প্রতিশোধ পরায়ণ হবেন না: মোনায়েম মুন্না
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, নির্যাতনের শিকার হওয়ার কারণে আপনারা কেউ প্রতিশোধ পরায়ণ হবেন না। কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। বরং অন্যায় অবিচারের শিকার হলে আইনগত পদক্ষেপ নিন। তবে খেয়াল রাখবেন কেউ যেন হয়রানিমূলক হামলা-মামলার শিকার না হন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন।
বুধবার চট্টগ্রামে ‘বৈষম্যহীন, নিরাপদ, মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভুমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোনায়েম মুন্না বলেন, বিএনপিতে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে যোগদান করানো যাবে না। দলের নাম ব্যবহার করে যারাই অপরাধ করবে তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। তাহলেই দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।
বন্যার্তদের পাশে থাকার আহ্বান করে মুন্না বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চলের বন্যার করাল গ্রাসে প্রায় এককোটি মানুষ কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক মানুষ মারা গেছেন। অনেক সম্পদ নষ্ট হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, নানান ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। ষড়যন্ত্র কিংবা অপপ্রচার চালিয়ে গত ১৫ বছরের অনাচার অবিচার জনগণকে ভুলিয়ে দেওয়া যাবে না। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব ইনশাআল্লাহ। গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জুলাইয়ের গণহত্যা যারা করেছে তাদের ক্ষমা নয়, বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনার তৈরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অত্যাচার থেকে আমরা কেউ রেহাই পাইনি। কথায় কথায় মামলা রিমান্ডে নিয়ে নিপীড়ন-নির্যাতন করেছে। শেখ হাসিনার নিপীড়ন থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সহ আমরা কেউ বাদ যাইনি।
১৫ বছরে বিএনপির সাতশ’র বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে উল্লেখ করে যুবদল সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে লড়াই করছে, সংগ্রাম করছে। দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক সংগ্রামের জন্য ৬০ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শুরু থেকেই সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। এই আন্দোলনে শুধুমাত্র যুবদলের ৩৫ নেতাকর্মী নিহত হয়েছে।
সভায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদের সভাপতিতে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/০৪সেপ্টেম্বর/জেবি/এসআইএস)