চাঁদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০

চাঁদপুর শহরের পুরান বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বৌবাজার এলাকায় কয়েক ঘণ্টা ধরে এ সংঘর্ষ চলে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি মীমাংসার কথা থাকলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ভাঙচুর করা হয় দোকানপাট। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৩৫ জন চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

আহতদের দাবি, চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় স্থানীয় বিএনপির নেতা রব মিজি, রানা মিজি, শফিক মিজির নেতৃত্বে দুই শতাধিক মানুষ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। অনেককে বেদম পিটিয়ে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

সংঘর্ষে আহত চাঁদপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলম খান দাবি করেন, স্থানীয় রব মিজি ও তার ছেলে রানা এক নিরীহ ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে তাকে মারধর করে। এ সময় এলাকার এক যুবক বাধা দিতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।

মোহাম্মদ আলম খান বলেন, ‘এরই মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রব মিজি তার সহযোগী বহিরাগতদের সহায়তায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের এলাকার দোকানপাটে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে আমাদের নারী, পুরুষসহ প্রায় ৫০ জনকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে।’

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরানবাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়ে থাকতে পারে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৭সেপ্টেম্বর/মোআ)