সাড়ে ৭ ঘণ্টা অবরোধে জনভোগান্তি, সরকারের ঘোষণার পরও চাকরিতে ৩৫ প্রত্যাশীদের আল্টিমেটাম
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শনিবার সাড়ে ৭ ঘণ্টা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন ৩৫ প্রত্যাশীরা। পরে অবস্থান থেকে সরলে রাত পৌনে নয়টা থেকে যানচলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
এদিকে আন্দোনকারীদের দাবির মুখে অন্তবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে বৈষম্যহীন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ৩৫ প্রত্যাশীদের দাবি-দাওয়া সবার আগে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
কমিশন গঠনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দেওয়া হলেও এর মাঝে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ৩৫ প্রত্যাশীরা। এই সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে রবিবার সকাল ১০টা থেকে ফের শাহবাগ অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শনিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে এ ঘোষণা দেন চাকরিতে আবেদনের বসয়সীমা ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয়ক পরিষদের অন্যতম সংগঠক মোজাম্মেল মিয়াজি।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সাক্ষাৎ করতে যান। সেখানে আসিফ নজরুল অনুপস্থিত থাকায় সাক্ষাৎ না পাওয়াতে সেখান থেকে ফিরে এ ঘোষণা দেন তারা।
বিপরীতে ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয়ক পরিষদের আরেক সংগঠক রাসেল আল মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রের জরুরি কাজ থাকায় আসিফ নজরুল স্যার আমাদের যাওয়ার আগে বেরিয়ে গেছেন। তবে যাওয়ার আগে স্যার তার ব্যক্তিগত সহকারীকে বলে যান যে, আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে আমাদের যে সমস্যা রয়েছে তা নিরসনে একটি বৈষম্যহীন কমিশন গঠন করা হবে। যেখানে আমাদের দাবির যৌক্তিক ও সুনির্দিষ্ট সমাধান করা হবে।’
অন্যদিকে আরেক সংগঠক মোজাম্মেল মিয়াজি আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, ‘আগামীকাল সকাল ৮টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় ফের সকাল ১০টা থেকে শাহবাগে ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন না দেওয়া হচ্ছে, আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
ভোগান্তিতে জনসাধারণ–
দীর্ঘক্ষণ অবরোধের কারণে রাস্তার দুই পাশে স্থবির হয়ে পড়েছিল যানচলাচল। অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সকল যানবাহন আন্দোলনকারীরা যানবাহন ব্যারিকেড দিয়ে আটকিয়ে দেন। এমনকি গাড়ি গন্তব্য যেতে চাইলে, সেগুলোকে ফেরত পাঠিয়ে দেন।
ঘড়িতে সময় তখন রাত সাড়ে ৮টা, নিজের ভোগান্তির কথা জানান ভ্যানচালক রাসেল মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি সেই আসরের পর থেকে জাদুঘরের সামনে দাঁড়ানো। ৪০০ কেজির মতো ওষুধ কোম্পানি কিছু মাল রয়েছে। যেগুলো মগবাজারে পৌঁছাতে হবে, যদি রাত ১০টার মধ্যে পৌঁছাতে না পারি এগুলো ঘুরে নিয়ে বাসায় রাখাতে হবে। আজ সারাদিন এটাই প্রথম ভাড়া ছিল, এটা ডেলিভারি করতে পারলে ৮০০ টাকা পাবো। আর পৌঁছেতে না পারলে আজকের খাওয়ার টাকা উঠবে না।’
(ঢাকাটাইমস/৭সেপ্টেম্বর/এসকে/এসআইএস)