মানিকগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদকসহ ২০ জনের নামে বিএনপি নেতার মামলা
মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে হামলা ও মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
রবিবার সকালে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও জেলা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌসুঁলি (পিপি) মো. আজাদ হোসেন খান মামলাটি করেন।
মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ২০ জন নেতাকর্মীর নামসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন— জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, কাজী এনায়েত হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক খান তুষার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রাজা, পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম, যুবলীগের কর্মী ইরাদ কোরাইশী ইমন, জুয়েল ভুঁইয়া ও মো. সানি এবং পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিৎ সরকার।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই সকালে আসামিরা পিস্তল, শর্টগান, এ কে ৪৭ এবং রাম দা, ছ্যান, চাপাতি, সামরাই, চৌশিরা কাঠের বাটামসহ বিভিন্ন দেশীয় মারাত্মক প্রাণনাশক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে মানিকগঞ্জ খাল-পাড় মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের খালপাড় মোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে বিএনপির কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন বাদি আজাদ হোসেন।
দলের নেতা-কর্মীদের একটু আগে তিনি বের হলে পথে খাল মোড় এলাকায় আসামি কাজী এনায়েত হোসেনের নির্দেশে আসামি সিফাত কোরাইশী, জুয়েল ও ইমন বাদির গতিরোধ করেন। এসময় অন্যান্য আসামিদের মদদে সিফাত কোরাইশী তার হাতে থাকা শর্টগান দিয়ে বাদি আজাদ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশে গুলি করেন। গুলি লক্ষভ্রষ্ট হলে আবারও গুলি করলে তা বের না হওয়ায় অপর আসামির হাতে থাকা কাঠের বাটাম নিয়ে সিফাত কোরাইশী বাদিকে এলোপাথারি পেটান। এরপর অন্যান্য আসামিরা তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র এবং রাম দা, ছোরা ও লোহার রড নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর একযোগে হামলা করেন। আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান খান ওরফে সজিব গুরুতর আহত হন।
পুলিশ কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার বলেন, মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আসামিদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/এসআইএস)