'লোডশেডিং কমিয়ে দে, নইলে চাকরি ছেড়ে দে'

লাগামহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির হরিরামপুর জোনাল শাখার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছে ছাত্র-জনতা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে হরিরামপুরের সাধারণ ছাত্র-জনতার আয়োজনে এ মানববন্ধনে পল্লী বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্য দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে লোডশেডিংয়ের কারণে সীমাহীন ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় 'লোডশেডিং কমিয়ে দে, নইলে চাকরি ছেড়ে দে' ‘আমাদের দাবি একটাই সুষ্ঠুভাবে বিদ্যুৎ চাই’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।
এ সময় তারা কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় কোনো লোডশেডিং চলবে না, লোডশেডিং দিনে কত ঘণ্টা দেবে তার নিদিষ্ট সময় বলতে হবে। লোডশেডিং কমাতে হবে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং দেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত মিটার বিল কেন আসে তার কারণ দর্শাতে হবে।
এ সময় তারা আরও বলেন, উপজেলায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর নিয়ম করে লোডশেডিং করা হলেও বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। কোথাও এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরপর কয়েক মিনিটের জন্য দেয়া হয় বিদ্যুৎ। আবার কখনো একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকে না বিদ্যুৎ। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
পল্লি বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও কর্মসূচি চলার এক পর্যায়ে সাত-আটজনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেন মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হরিরামপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সামিউল কবির। এ সময় তিনি ছাত্র-জনতার উদ্দেশে লোডশেডিং ও বিদ্যুতের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন।
(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/মোআ)

মন্তব্য করুন