শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে যে বলতে গেছে তাকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে: রিজভী
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বেদনা’ থেকে নিজেকে এখনও দেশের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেন, পতিত স্বৈরাচার পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন হারানোর বেদনা থেকে। কারণ শেখ পরিবার বাংলাদেশটাকে জমিদারি মনে করতো। এভাবে ১৫/১৬ বছর দেশ পরিচালনা করেছে। যে ব্যক্তি বিরুদ্ধে কথা বলতে গেছে, তাকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে। তাকে অদৃশ্য করে দিয়েছে। তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বিরোধী কোনো কণ্ঠস্বর তিনি (শেখ হাসিনা) রাখতে চাননি।’
শুক্রবার বিকালে দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে আহত দিনমজুর আব্দুর রশিদ ও তার সন্তানকে দেখতে যান রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নগদ টাকা, খাদ্য ও উপহারসামগ্রী বিতরণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
গণমাধ্যমে প্রচারিত শেখ হাসিনার নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে ফোন রেকর্ডের বিষয়ে
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিরোধী মতকে দমনের জন্য একদিকে যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে, অন্যদিকে প্রত্যক্ষভাবে দমনের জন্য এমনভাবে র্যাব-পুলিশকে গঠন করেছে, যাদের অধিকাংশ কর্মকর্তা ছিলেন আওয়ামী লীগ ঘরনার অথবা যুবলীগ-ছাত্রলীগের।’
শেখ হাসিনার ক্ষমতাকালকে দানবীয় সরকারের আমল মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনে বিএনপির আট শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছেন, অসংখ্য নেতাকর্মী বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনের পটভূমিতে গত জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের অগ্নিমশাল জ্বলে উঠেছিল। তার চূড়ান্ত পরিণতি শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির কারও নামে চাঁদাবাজি-দখলবাজির খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আব্দুর রশিদ গুলিবিদ্ধ হন। তার স্ত্রী সে সময় সন্তান প্রসব করেন। চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে তিন দিনের সন্তানকে দত্তক রেখে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে চিকিৎসা করান রশিদ। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ও প্রশাসন অবগত হলে তারা রশিদের সন্তানকে আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।
(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/জেবি/কেএম)