বগুড়ায় আ.লীগ নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভাটরা ইউনিয়ন বিএনপির অনুষ্ঠানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ-যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও এক সাংবাদিকসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত রবিবার রাতে ভাটরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মাটিহাস গ্রামের আক্কেল আলী মণ্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেছেন। মামলায় ১১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর বাজার সংলগ্ন স্কুলমাঠে ইউনিয়ন বিএনপির অনুষ্ঠান শেষে দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন রানা, সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র আনিছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য মুকুল মিঞা, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, ফিরোজুর রহমান ফিরোজ, ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক ফিরোজ কামাল ফারুক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দুলাল চন্দ্র মহন্ত, তার ভাই স্বপন চন্দ্র মহন্ত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সবুজ, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ রায়হান মানিক, শ্রমিক লীগের সভাপতি এনামুল হক, আহ্বায়ক শাহিনুর রহমানসহ অনেকে। মামলার সকল আসামিরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পণ্ডিতপুকুর হাইস্কুল মাঠে ভাটরা ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় সভা শেষ হওয়ার পরই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা ও সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানের নির্দেশে শতাধিক আসামিরা সেখানে হামলা করে। তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং একটি অবিস্ফোরিত ছিল৷ হামলায় উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাসুদ রানাসহ ৪-৫জন নেতাকর্মী আহত হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
সোমবার নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ৬৪ নম্বর আসামি আরিফুল ইসলাম (৩৮) পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। তিনি ঢাকইর মহল্লার আব্দুল আলীমের ছেলে।
অন্যজন ৬৮ নম্বর আসামি মামুনুর রশিদ মামুন (৩৫) পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। তিনি কালিকাপুর মহল্লার হবিবর রহমানের ছেলে।
(ঢাকা টাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/পিএস)