নোবিপ্রবিতে লিফট বন্ধে ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

​​​​​​​মো. নিয়াজ উদ্দিন নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
  প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৩০
অ- অ+

নোয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একাডেমিক ভবন- লিফট বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ১০ তলা পর্যন্ত সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে।

সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন- দুটি লিফট রয়েছে। দুটি লিফটে করেই প্রতিদিন উঠা-নামা করেন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় - হাজার শিক্ষার্থী। দুইবছর থেকে মাঝেমধ্যে একটি কিংবা দুইটি লিফট অকেজো হয়ে পড়ে। এরমধ্যে গত কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে একটি লিফট। বাকি লিফট দিয়ে উঠানামা করছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সকলে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সকলকে।

প্রতিদিনই লিফটের সামনে লেগে থাকে লম্বা লাইন। আধাঘণ্টা থেকেেএকঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে লিফটে উঠতে পারেন না। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একেকটি লিফটের ধারণক্ষমতা প্রায় ৫০০-৭০০ কেজি। একবারে একটি লিফটে সর্বোচ্চ ১০-১২ জন উঠতে বা নামতে পারে। এর মধ্যে ১নং লিফটটি বন্ধ থাকায় বাকি লিফট দিয়ে উঠানামা করতে হয় শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সচল লিফটিও মাঝেমধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ থাকলে ভোগান্তি বাড়ে দ্বিগুণ।

কৃষি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী জেরিন ফেরদৌস বলেন, সম্প্রতি আমি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে পায়ে ব্যাথা পাই। আমার ক্লাস ১০ তলায়। আগে নিয়মিত সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করলেও এখন পারি না। কিন্তু ক্লাস টাইমে দীর্ঘ লাইন থাকে। দীর্ঘ এই লাইনের জন্য সহজে লিফট ধরতে পারি না। ফলে প্রায় সময় ক্লাস শুরু হয়ে গেলেও ক্লাসে ঢুকতে দেরি হয়ে যায়।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাইম বলেন, অন্য সময় কষ্ট করে হলেও সিঁড়ি দিয়ে উঠা যায়, কিন্তু সমস্যা হয় পরীক্ষার সময়। সে সময় লিফট ধরতে না পারলে সিঁড়ি বেয়ে উঠলে শরীরে ক্লান্তি লাগে আবার পরীক্ষার সময়ও নষ্ট হয়ে যায়। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা উচিত।

নাম অনিচ্ছুক আইসিই বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদেরপ্রকাশে ক্লাস হয় ৮ম তলায়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে যায়। একটা লিফট সব সময়ই বন্ধ থাকে। সেটা চালু থাকলেও লাইন কিছুটা কম থাকে। সেটা কেন বন্ধ থাকে সেটাও জানি না, অন্তত ক্লাস টাইমে চালু রাখা উচিত।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল প্রকৌশলী মো. শরিফ হোসাইন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ভোল্টেজ আপ ডাউন জনিত সমস্যার কারণে কিছুদিন আগেই একাডেমীক ভবন-২ এর একটি লিফটের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে যায়। আমরা লিফটটি ঠিক করার জন্য যাবতীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহে লিফটটি পুনরায় চলবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এক মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল ৪ বন্ধু, ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল দুজনের
ভারতের সামরিক অভিযানের দ্রুত, দৃঢ় ও কঠোর জবাব দেওয়া হবে: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান
সুনামগঞ্জে কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় ৯০টি গরুসহ নৌকা জব্দ 
সাবেক আইজিপি মোদাব্বির হোসেন চৌধুরীর ইন্তেকাল 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা