প্রবাসী কল্যাণ সচিব আসলে কার লোক? অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি বায়রা সদস্যদের

বিগত সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ধ্বংসের জন্য যারা দায়ীদের সহযোগী আখ্যা দিলো রিক্রুটিং মালিকদের সংগঠন বায়রার একাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রবাসী কল্যাণ সচিবকে তার অবস্থান পরিষ্কার করার জানিয়েছেন।
বায়রা নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ধ্বংসের জন্য যারা দায়ী সেই মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক এমপি বেনজির আহমেদ ও নিজাম হাজারীদের সহযোগী হিসেবে এই সচিব নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।’
‘প্রবাসী কল্যাণ সচিব আসলে কার লোক সেটা পরিষ্কার করছেন না। তার উচিত নিজের অবস্থান পরিষ্কার করা। সচিবের অদক্ষতা, অযথা সময় ক্ষেপণের কারণে শ্রমিক সংকট তৈরি হয়েছে।’
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অবাধ খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বায়রার সদস্যদের একটি অংশ। ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনে বায়রা সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম, সদস্য ও বিএনপি নেতা খন্দার আবু আশফাক, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব নূরুল আমিন, বায়রার কার্যনির্বাহী সদস্য হক জহিরুল শুভ, কামাল উদ্দিন দিলু, মাহবুব উল করিম জাফর ও আজাদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বায়রা নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বিগত হাসিনা সরকারের সময়ে একটি চক্র শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ করেছিল। আমাদের দূতাবাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা তাদেরকে সহযোগিতা করে। অবিলম্বে এসব অসাধু কর্মকর্তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বায়রা নেতা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রায় আড়াই হাজার লাইসেন্স। আমরা নানা কাঠখড় পুড়িয়ে নানা কৌশলে ভিসা সংগ্রহ করেছি। শুধু বিএমইটি করার ও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য এজেন্সিগুলোকে দেড় লাখ টাকা করে দিতে হয়েছে। ভিসা প্রসেস, টিকেট ক্রয়সহ যাবতীয় আমরা করেছি।’
‘যথাসম্ভব দ্রুত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলে দিতে হবে। আমাদের কিছু অসাধু চক্রের কারণে অন্য সোর্স কান্ট্রিগুলো সেখানে সুযোগ নিচ্ছে।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, গত ৩১ মের পর কোনো দেশ মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে পারেনি।’
সংবাদ সম্মেলনে বায়রা নেতৃবৃন্দ বেশকিছু দাবিও তুলে ধরেন। সেগুলি হলো, রিক্রুটিং এজেন্সি সিলেকশনে বৈষম্য দূর করা; কম খরচে বা বিনা খরচে মন্ত্রণালয় থেকে ম্রমিক পাঠানোর বিষয়ে সেন্ট্রাল অনলাইন পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া; বির্তকিত অনলাইন পদ্ধতি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনলাইন পদ্ধতি চালুক করা; ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে নিয়োগকৃত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অপসারণ করা; ইত্যাদি।
(ঢাকাটাইমস/০৩অক্টোবর/ডিএম)

মন্তব্য করুন