পশ্চিম তীরে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৯
গত এপ্রিলে অধিকৃত পশ্চিম তীরে তুলকারেম দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স যাচ্ছে

অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবা শিন বেটের সঙ্গে সমন্বয় করে এই হামলা চালিয়েছে।

সেনাবাহিনী পরে একটি বিবৃতিতে বলেছে যে তারা তুলকারেমে হামাসের অবকাঠামোর প্রধানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবির বিষয়ে মন্তব্য করেনি।

ক্যাম্পের কর্মকর্তা ফয়সাল সালামা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, একটি এফ-১৬ ফাইটার দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।

আল জাজিরার সানাদ ফ্যাক্ট-চেকিং এজেন্সি দ্বারা যাচাইকৃত ফুটেজে পশ্চিম তীরের উত্তরে নাবলুসের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ক্যাম্পে ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য দেখানো হয়েছে।

এলাকাটি ধ্বংসাবশেষের বিশাল স্তূপে পরিপূর্ণ ছিল এবং আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। উদ্ধারকারীরা আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে ছুটে আসতে দেখা যায়।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীর জুড়ে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ও হামলা বেড়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বরের শেষের মধ্যে পশ্চিম তীরে ৬৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ওসিএইচএ বলেছে, অধিকাংশ মানুষ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে, আর এক ডজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা নিহত হয়েছে।

শুক্রবার ভোরে জর্ডানের আম্মান থেকে রিপোর্ট করে আল জাজিরার নুর ওদেহ বলেছেন, তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে হামলা ছিল ‘২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বড় এবং মারাত্মক বিমান হামলা।”

ওদেহ রিপোর্ট করেছেন, “এমনকি দ্বিতীয় ইন্তিফাদা মানদণ্ড অনুসারে এটি ঘনবসতিপূর্ণ, দরিদ্র শরণার্থী শিবিরে একটি খুব বড় ও খুব মারাত্মক হামলা।”

ইউএন এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনি শরণার্থী (পিডিএফ) অনুসারে তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে ২১ হাজহারেরও বেশি লোক বাস করে, শুধুমাত্র শূন্য দশমিক ১৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বসবাস করে।

ওদেহ যোগ করেছেন যে হামলার তথ্য এখনও আসছে।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, “একটি পুরো ভবন সমতল করে ফেলা হয়েছিল এবং প্যারামেডিকরা সমস্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন এবং সেখানে ধ্বংসস্তূপের নীচে বেঁচে যাওয়া কেউ নেই- এটা তারা নিশ্চিত করার জন্য এখনও লড়াই করছেন।”

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একজন মুখপাত্র শরণার্থী শিবিরে হামলাকে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে নিন্দা করেছেন।

ওয়াফা নিউজ এজেন্সির শেয়ার করা এক বিবৃতিতে নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেছেন, এই মারাত্মক হামলাটি ‘পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার একটি বিস্তৃত প্যাটার্নের অংশ।”

(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :