১১ কোটির বেশি নাগরিকের তথ্য বিক্রির মামলায় তারেক বরকতউল্লাহ কারাগারে

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডেটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটির বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য দেশি-বিদেশি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির অভিযোগে করা মামলায় তারেক বরকতউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিকে এদিন আদালতে হাজির করে কাফরুল থানা পুলিশের এসআই মো. আবু হানিফ কারূগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এর আগে বুধবার সকালে রাজধানীর কাফরুলের উত্তর কাজীপাড়া থেকে বরকতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইসির ডেটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক ছিলেন।
১১ কোটির বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্যের অনুলিপি বিক্রির ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর রাজধানীর কাফরুল থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, তারেক বরকতউল্লাহসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়, এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি দেন আসামিরা। জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এনআইডির তথ্য দেশ-বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ডিজিকন। এতে জনগণের নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তথ্য বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
২০২২ সালের ৪ অক্টোবর এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) যাচাইসেবা গ্রহণ বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির অনুচ্ছেদ ২ অনুসারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নির্বাচন কমিশনের তথ্য–উপাত্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিনিময় বা বিক্রি করতে পারবে না। চুক্তি অনুসারে ১১ কোটির বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের অনুলিপি তৈরি করে ২০১৯ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে প্রদান করা হয়।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এসব তথ্য ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রদান করে। ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি নাগরিকদের ব্যক্তিগত এই তথ্যগুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১৮০টির বেশি দেশি-বিদেশি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থের বিনিময়ে ৫ বছর ধরে বিক্রি করছে।
(ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/ডিএম)

মন্তব্য করুন