ছাত্রলীগনেতা পরিচয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাই, ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:১৯| আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১২
অ- অ+

অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন রাজন চন্দ্র রায় নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী। রাজধানীর ধানমণ্ডির শংকর এলাকা থেকে ছাত্রলীগ ও পুলিশ পরিচয়ে তার মোটরসাইকেল ছিনতাই হয় প্রায় আড়াই বছর আগে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদের নেতাদের পরিচয় ব্যবহার করে একটি চক্র ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে অস্ত্রের মুখে বাসার গ্যারেজ থেকে তার বাইক নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী রাজন বলেন, ‘২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মধ্যরাতে আমার বাসায় এসে অস্ত্রের মুখে মারধর করে একটি দলিলে স্বাক্ষর করতে বলে। জীবন বাঁচাতে স্বাক্ষর করি। এরপর আমার পাশের বাসার গ্যারেজে রাখা ইয়ামাহা ব্রান্ডের ভার্সন-৩ মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এই ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দেই৷ এসআই আজমাইন অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান। তিনি দ্রুত অভিযুক্ত দুজনকে বাইকসহ আটকও করেন। আসামিদের থানার হাজতে রাখা হয়। বাইকও জব্দ করা হয়।’

রাজন বলেন, ‘ওইদিন রাত ৪টার দিকে বাইক বুঝিতে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আমাকে বাসায় চলে যেতে বলে। কিন্তু সেই রাতেই আসামিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কয়েকদিন পর আমার মোটরসাইকেলও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অথচ আমাকে মোটরসাইকেল দেওয়ার আশ্বাসে ৫০ হাজার টাকাও নিয়েছেন ওই এসআই। কিন্তু আমাকে গাড়ি না দিয়ে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। এমন কি থানায় আবার কোনো অভিযোগ নিয়ে আসলে মাদক মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।’

তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর আজমাইন বদলি হওয়ার পর আমি ধানমণ্ডি থানা আবারও অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পেলাম না।

এই ঘটনায় দ্বিতীয়বার অভিযোগ দেওয়ার পর দুজন তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়েছেন কিন্তু সমাধান পাইনি। আমার কষ্টের টাকায় কেনা মোটরসাইকেল ছিনতাইকারীরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিন্তু আমি আইনের সহায়তা পাচ্ছি না। চার দিন ঘুরেও সমাধান পাইনি। এখন আমাকে আদালতে মামলার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। আশা করি আদালতে গিয়ে প্রতিকার পাবো’ বলেন ওই ভুক্তভোগী।

এই ঘটনায় ধানমণ্ডি থানায় অভিযোগ দিলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজমাইন এশা ভুক্তভোগীকে মাদক মামলার ভয় দেখান বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। তদন্তের নামে রহস্যজনক কারণে ছিনিয়ে নেওয়া গাড়ি অভিযুক্তদের হাতে তুলে দেন ওই এসআই। এমনকি ভুক্তভোগীর কাছ থেকে গাড়ির আসল কাগজপত্র নিয়ে আসামিদের হাতে তুলে দেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করছেন ওই কর্মকর্তা।

অস্ত্রের মুখে গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অন্যরা হলো- পুলিশ পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ানো ঠিকাদার ইবনাত ইন্টারন্যাশনালের মালিক রিসাদ রহমান, নাজমুল হক সুমন (৩২), ইব্রাহিম খলিল (২৬), সামিউল ইসলাম (২৬)।

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/এলএম/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এক মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল ৪ বন্ধু, ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল দুজনের
ভারতের সামরিক অভিযানের দ্রুত, দৃঢ় ও কঠোর জবাব দেওয়া হবে: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান
সুনামগঞ্জে কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় ৯০টি গরুসহ নৌকা জব্দ 
সাবেক আইজিপি মোদাব্বির হোসেন চৌধুরীর ইন্তেকাল 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা