ঢাকাটাইমসে সংবাদ প্রকাশের পর সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বদলি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু না হলেও ভুয়া বিল-ভাউচারে খরচের খাতা সচল রাখা সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী আব্দুল মমিনকে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) যেকোনো সময় সালথা থেকে তার বিদায় নেওয়ার কথা রয়েছে। সকালে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন।
সিভিল সার্জন বলেন, সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী আব্দুল মমিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। তাকে সালথা থেকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। আজকের মধ্যে তার বদলির আদেশ কার্যকর হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার এসব দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে গত ২ অক্টোবর ঢাকা টাইমসে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে হাসপাতালের সূত্রে তার বিভিন্ন দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জনবল ও সরঞ্জাম সংকটে এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম। যে কারণে এখানে ভর্তি করা হয় না কোনো রোগী। তবে হাসপাতালটির কার্যক্রম পুরোপুরি চালু না হলেও খরচের খাতা পুরো সচল রাখেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী আব্দুল মমিন।
তিনি গত অর্থবছরে বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে ৪৫ লাখ টাকা হাসপাতালের রাজস্ব খাত থেকে উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে সরকারি ওষুধ উধাও করে দিয়ে চিকিৎসকরা কোম্পানির ওষুধ লিখে দেন অসহায়-গরিব রোগীদের।
ডা. কাজী আব্দুল মমিন ২০২৩ সালে ৮ মে সালথায় যোগদানের পর থেকে সাধারণ রোগীকে হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ভাতার টাকা আত্মসাৎ ও আনুতোষিক ভাতা নয় ছয় করে আসছেন তিনি। এমনকি ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন, খুদে চিকিৎসক ক্যাম্পেইন ভাতা ও মাঠকর্মীদের সম্মানি ভাতা পর্যন্ত নিজের পকেটে পুরেছেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/মোআ)

মন্তব্য করুন