নিক্সন চৌধুরী-মির্জা আজম ও ডা. ইকবালপুত্রের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ও তার স্ত্রী তারিন হোসেন এবং জামালপুরের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতা ডা. এইচ বি এম ইকবালের ছেলে প্রিমিয়ার প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান মঈন ইকবালেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভাপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন।
দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ও সৈয়দ আতাউল কবির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার এই আবেদন করেন।
নিক্সন চৌধুরীর আবেদনে বলা হয়, নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নিমিত্তে দরখাস্তকারীর নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানকালে ইতোমধ্যে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যামে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ও তার স্ত্রী তারিন হোসেন সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশ ত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। বিধায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
মির্জা আজমের আবেদনে বলা হয়, মির্জা আজম ক্ষমতার অপব্যাবহারপূর্বক বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের নিমিত্ত দরখাস্তকারীকে টিম লিডার করে ৩(তিন) সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানকালে ইতোমধ্যে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মির্জা আজম ও তার পরিবারের সদস্যগণ দেশ ত্যাগের চেষ্টা করছেন। তিনি দেশ থেকে পলায়ন করলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র বিনষ্টসহ অনুসন্ধানকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মির্জা আজমের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
মঈন ইকবালের আবেদনে বলা হয়, মঈন ইকবালসহ ঢাকাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে ২৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি দেশ ছেড়ে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুতরাং, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/এজে)

মন্তব্য করুন