আলোচনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন, এখনো ‘সিদ্ধান্ত’ নেয়নি সরকার

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ঢাকায় যে কার্যালয় খুলতে চাইছে সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্কের সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার (৩০ অক্টোবর) সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন একথা জানান।
প্রস্তাবটি পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখনো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। আগে বুঝতে হবে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় খোলার বিষয়ে আমরা সম্মত হয়েছি কি না।’
ফলকার তুর্কের সঙ্গে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার বৈঠকের পর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘একটা খুব বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটা কার্যালয় শিগগির চালু হবে।’
তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ফলকার তুর্কের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ফলকার তুর্ক সরকারকে কোনো লিখিত চিঠি দেননি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি গভীরভাবেই পর্যবেক্ষণ করছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণ সমর্থন আছে। বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা সপ্তদশ দেশ হিসেবে ঢাকায় এমন কার্যালয় করতে যাচ্ছে। বর্তমানে বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন ও সিরিয়ায় তাদের এ ধরনের কার্যালয় রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩০অক্টোবর/ডিএম)

মন্তব্য করুন