রাশিয়াকে সহায়তা: ভারতের ১৯ প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তার অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চার শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ভারতের শীর্ষস্থানীয় ১৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে বলছে, গত বুধবার ১২টিরও বেশি দেশের ৪ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে রাশিয়ার পাশাপাশি চীন, হংকং, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ১২০ ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এছাড়া মার্কিন ট্রেজারি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৩১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার জন্য নির্দিষ্ট করেছে।
দুই মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহৃত যেসব পণ্য ভারতীয় সংস্থাগুলো রাশিয়ায় রপ্তানি করে আসছে, সেগুলোর বেশির ভাগই দ্বৈত ব্যবহারের উপযুক্ত। যুদ্ধ ও শান্তি উভয় সময়েই কাজে ব্যবহার করা যায়। তবে রাশিয়া বর্তমানে ওই সব পণ্য ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যবহার করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সেই সব পণ্য ও প্রযুক্তির মধ্যে বেশির ভাগই ইলেকট্রনিক। বাকি রপ্তানির মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ ও অন্য সরঞ্জাম, যা সমরাস্ত্র মেরামতের কাজে লাগে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না নিলেও বাণিজ্যিক খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি রাশিয়াকে সহায়তা দেওয়া তৃতীয় কোনো দেশকেও রেহাই দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে যেসব সংস্থার মালিক বা সে দেশের সম্পদ ব্যবহারের অধিকারী, সেগুলো কোনোভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পদের অধিকার তারা সাময়িকভাবে হারাবে। তাদের সঙ্গে কোনো রকমে লেনদেনও করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কেউও ওই সংস্থার সঙ্গে কোনো রকমে ব্যবসায়িক আদান–প্রদান করতে পারবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি খাতগুলোকে সতর্ক বার্তা দিবে। বার্তাটি হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো উপেক্ষা করলে তা মোকাবেলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এদিকে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি নয়াদিল্লি । তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগলো বলছে, এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু প্রশ্ন ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেয়নি।
(ঢাকাটাইমস/০১নভেম্বর/এমআর)
মন্তব্য করুন