সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পলিথিন ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট ও কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত হোটেল-রেস্টুরেন্টে তালিকাভুক্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টসহ এর আওতাধীন আদালতসমূহ এবং আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত হোটেল-রেস্টুরেন্টে তালিকাভুক্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করে প্রস্তাবিত বিকল্প পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশনা প্রদানে সুপ্রিম কোর্টের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছে। এ অবস্থায়, সুপ্রিম কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত হোটেল-রেস্টুরেন্টে তালিকাভুক্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বিকল্প পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এই নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় যে সব বিকল্প পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের প্রস্তাব করছে সেগুলো হচ্ছে—
১. প্লাস্টিকের ফাইল ও ফোল্ডারের পরিবর্তে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব অন্যান্য সামগ্রীর তৈরি ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবহার করা
২. প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে কটন/জুট ফেব্রিকের ব্যাগ ব্যবহার করা, প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে কাঁচের বোতল ও কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করা
৩. প্লাস্টিকের ব্যানারের পরিবর্তে কটন ফেব্রিক/জুট ফেব্রিক বা বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরি ব্যানার ব্যবহার করা, দাওয়াত পত্র, ভিজিটিং কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের প্রচার পত্রে প্লাস্টিকের লেমিনেটেড পরিহার করা
৪. বিভিন্ন সভা/সেমিনারে সরবরাহকৃত খাবারের প্যাকেট যেন কাগজের হয়/পরিবেশ বান্ধব হয় সেটি নিশ্চিত করা৫. প্লাস্টিকের কলমের পরিবর্তে পেনসিল/কাগজের কলম ব্যবহার করা ৬. বার্ষিক প্রতিবেদনসহ সকল ধরনের প্রকাশনায় লেমিনেটেড মোড়ক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করা এবং ফুলের তোড়াতে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা
৭. একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস, কাপ, কাটলারিসহ সকল ধরনের পণ্য পরিহার করা।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশ দূষণ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এবং উদ্বেগের বিষয়। বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পানিদূষণসহ সার্বিকভাবে পরিবেশ দূষণ আমাদের দেশের তীব্র আকার ধারণ করেছে। বর্তমান সরকার এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে পরিবেশ দূষণ রোধ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
(ঢাকাটাইমস/০২অক্টোবর/এমআর)
মন্তব্য করুন