জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতনের পর মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখছে: মির্জা ফখরুল
“নব্বইয়ে অর্জিত গণতন্ত্রের পথচলাকে আবারো বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মাস্তানতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল” মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতনের পর মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনের পথে সব বাধা দূর করে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনশাসন কায়েম করতে হবে। নূর হোসেনের মতো সাহসিকতা নিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার রাতে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বাণীতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, “শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মহান বীর শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে গিয়ে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরশাসকের তপ্ত বুলেটের শিকার হয়েছিলেন নূর হোসেন। সেদিন তার আত্মত্যাগ এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছিল। নূর হোসেনের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে সংঘটিত হয়েছিল সফল গণঅভ্যুত্থান। পতন হয়েছিল নির্দয় স্বৈরশাসকের, মুক্ত হয়েছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। আজও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নূর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। আর এ জন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/জেবি/এফএ)
মন্তব্য করুন