ড. ইউনূসের ছয় প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকমসহ ৬টি প্রতিষ্ঠানে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা ও দখলের চেষ্টার অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাইফুল মজিদসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার আবেদন করেন গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন চৌধুরী।
এদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ প্রতীম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রাজধানীর শাহ আলী থানাকে এজহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন— মাসুদ আখতার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়টসের ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার, মাসুদ আখতার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়টসের কনসালটেন্ট জীম যোবায়েদ, অবসরপ্রাপ্ত লে: কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর হাসান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল রাশেদ আলী, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন জিয়াউর রহমান, নুরুজ্জামান মৃধা, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের সদস্য রাজু মিয়া, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের উপদেষ্টা এস আব্দুর রশীদ, সাবেক এনএসআই কর্মকর্তা ও গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের সদস্য রাজু মিয়া মিজানুর রহমান, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা তানন খান, গ্রামীণ ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার সাহা, গ্রামীণ ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুল হক, গ্রামীণ ব্যাংকের উপ-মহা ব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদ, গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গোলাম জাকারিয়া, হারুন অর রশীদ, তরিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল অফিসার গবীন্দ সাহা ও কৃষ্ণ কান্ত রায়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি আসামিরা গ্রামীণ কল্যাণ অফিসে উপস্থিত হয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন পূর্বক নিজেদের গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক মনোনীত গ্রামীণ কল্যাণের নতুন পরিচালক পরিচয় দিয়ে অপরাধমূলক অনধিকারে টেলিকম ভবনে পঞ্চম ফ্লোরে অবস্থিত গ্রামীণ কল্যাণের অফিসে প্রবেশ করে কোম্পানির মানহানি ও সংরক্ষিত মূল্যবান নথিপত্র ও আসবাব পত্রের ক্ষতিসাধন করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি আসামিরা টেলিকম ভবনে প্রবেশের সময় দায়িত্বরত গার্ড তাদের পরিচয় জানতে চাইলে আসামিদের মধ্যে একজন নিজেকে ‘কর্নেল রাশেদ (আসামি নং-৫) বলে পরিচয় দেন এবং গ্রামীণ ব্যাংক থেকে এসেছেন বলে ধমকের সুরে জানান এবং দায়িত্বরত গার্ডকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে গাল-মন্দ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে লবিতে অবস্থিত সিকিউরিটি এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেমের ওপর দিয়ে ডিঙ্গিয়ে জোরপূর্বক কিছু ব্যক্তি লিফ্ট লবির সামনে এবং কিছু ব্যক্তি সিঁড়ি দিয়ে গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকমসহ গ্রামীণের আরও ৬টি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে হামলা ও দখলের চেষ্টা করেন।
(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/আরজেড/এমআর)
মন্তব্য করুন