২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস মাহমুদউল্লাহর, বাংলাদেশ থামল ২৪৪ রানে
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আগের ম্যাচের মতো এদিনও ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। প্রথম ৮ ওভার ১ বলেই তুলে নেয় ৫৩ রান। তবে পরের ৫ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে যান ৩ ব্যাটার। যার ফলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়ও। এরপরেই জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এই দুই ব্যাটারই তুলে নেন অর্ধশতক। মিরাজ ৬৬ রানে ফিরে গেলেও লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে দাঁড়িয়ে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। তার ৯৮ রানের ইনিংসে ভর করেই লড়াকু পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
সোমবার (১১ নভেম্বরে) শারজাহতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আজ (সোমবার) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। প্রথম ৮ ওভার ১ বলেই তারা তুলে নেন ৫৩ রান। তবে এর পরেই ঘটে ছন্দপতন।
নবম ওভারের তৃতীয় বলেই আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে করেন ২৩ বলে ২৪ রান। তার বিদাযে ৫৩ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে বাংলাদেশের।
সৌম্যের বিদায়ের পর একে একে সাজঘরে ফিরে যান তানজিদ হাসান ও জাকির হাসান। তানজিদ হাসান ২৯ বলে ১৯ রান করে ও শান্তর বদলে একাদশে জায়গা পাওয়া জাকির হাসান ৭ বলে ৪ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। এই দুই ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে ৫৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
৫৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মেহেদেী হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয়। তবে তারাও ব্যর্থ হন নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় ৭২ রানে তাওহীদ হৃদয়ের বিদায়ে ১৪ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি। ১৪ বলে মাত্র ৭ রান করে শিদ খানের বলে গুলবাদিন নাইবের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়।
হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন তিনি। আগের দুই ম্যাচে দ্রুত ফিরে গেলেও তৃতীয় ম্যাচে আজ তিনি তুলে নেন অর্ধশতক। আফগানদের বিপক্ষে আজ তিনি ৬৩ বলে তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৯তম ফিফটি।
মাহমুদউল্লাহর পর অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। আফগানদের বিপক্ষে তিনি ১০৬ বলে তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। এই দুই ব্যাটারের জোড়া অর্ধশতকে ভর করে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে থাকে বাংলাদেশ। তাদের জুটিতে ভর করে ৪৪ ওভার ৪ বলে দলীয় ২০০ রান পূর্ণ করে বাংলাদেশ। তবে দলীয় ২০০ রান পূর্ণ করার পর এই জুটিকে আর বেশিদূর এগোতে দেননি আজমাতউল্লাহ ওমারজাই।
১১৯ বলে ৬৬ রান করে আজমাতউল্লাহ ওমারজাইকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে গুলবাদিন নাইবের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মিরাজ। তার বিদায়ে ভাঙে ১৪৫ রানের জুটি।
মিরাজের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে যান আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা জাকের আলী অনিক। ২ বলে মাত্র ১ রান করে আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের বলে রহমানউল্লাহ গুরবাজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে যান জাকের। তার বিদায়ে ২২৪ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
জাকেরের বিদায়ের পর লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে দাঁড়িয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
(ঢাকাটাইমস/১১ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)
মন্তব্য করুন