পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে সরকার: প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:১০
অ- অ+

পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস শফিকুল আলম শফিকুল আলম বলেন, যে টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে তা ফেরত আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আন্তর্জাতিক যেসব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এইগুলো নিয়ে কাজ করে, তাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।

যারা দেশের টাকা লুটপাট এবং মহাচুরির মাধ্যমে পুরো দেশকে ভয়ানক লণ্ডভণ্ড অবস্থায় রেখে গেছেন সরকার তাদের বিচারের মুখোমুখি করবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যে নৈরাজ্য হয়েছে, তার বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গণহত্যা এবং গুম-খুনের বিচারের পাশাপাশি দেশে যে ধরনের মহাচুরি হয়েছে তার বিচার অব্যশই হবে। তবে এর জন্য তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। এলক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পুনর্গঠন করা হচ্ছে। আশা করি তারা দ্রুত এসব চুরির বিচার শুরু করবে।’

রবিবার সন্ধ্যায় রাজধীনীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তাদের প্রতিবেদন আজ রবিবার উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ড. ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিন মাসের অনুসন্ধান শেষে তাদের প্রতিবেদন আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হস্তান্তর করা হলো।

শফিকুল আলম এই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটিকে রিপোর্ট তৈরির জন্য তিন মাসের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী তারা আজ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। লুটপাটের চিত্র খোঁজার পাশাপাশি আগে উন্নয়নের যে গল্প বলা হয়েছিল, কমিটির সদস্যরা তার পোস্টমর্টেমও করেছেন বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, পুরো বাংলাদেশের মানুষের চোখের সামনে দিয়ে লুটপাট চলেছে। অনেকে এটার বৈধতা দিয়েছেন। এটার ফলাফল আপনারা দেখেছেন কত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্বৃত করে প্রেস সচিব বলেন, লুটপাটের গল্প শুনে আমরা আতংকিত। রক্ত হিম করার মত বিষয়। বাংলাদেশের করদাতার অর্থ, গরীব মানুষের টাকা কীভাবে লুট হয়েছে। রাজনীতিবিদ, আমলা এবং কিছু ব্যবসায়ীর যোগসাজসে এই মহাচুরি সংগঠিত হয়েছে বলে শফিকুল আলম দাবি করেন।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির রিপোর্ট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস আরও বলেন, লুটপাটের যে চিত্র, তা পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত। স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের এই গল্প জানা উচিত। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনকে একটা ঐতিহাসিক ডকুমেন্ট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

লুটপাটের মহাযজ্ঞ চললেও আমাদের সমাজের অনেকে এটা নিয়ে চুপ ছিলেন বলে মন্তব্য করেন প্রেস সচিব বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী বীরত্বের সুরে বলেছিলেন, তার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক।

প্রেস সচিব শফিকুল আরও বলেছেন, এই রিপোর্টটি তিন মাসের। অনেকগুলো বিষয় এখানে আপডেটেড হবে। তখন বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার শাসনামালের দুর্নীতির সামগ্রিক পুরো চিত্র পাবেন আশা করি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সার্ক সাংবাদিক ফোরাম ইউএইর কমিটি ঘোষণা
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা: বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাঙ্গাবালীতে দেড় লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ, পুড়িয়ে ধ্বংস
কলকাতায় সম্মাননা পেলেন নাট্যজন সেলিম রেজা সেন্টু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা