প্রকৃত প্রেমিকের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াই

অবসেসিভ লাভ ডিসঅর্ডার রোগাক্রান্ত রোগীর সহযোগিতায় এগিয়ে আসি

ড. সনিশ্রী ওয়াটিংগুরাচাই
  প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৪
অ- অ+

অবসেসিভ লাভ ডিসঅর্ডার বা ইউরোটোমেনিয়া রোগটি পরবর্তীতে দ্বিতীয় পক্ষের অসহযোগিতার কারণে সিজোফ্রেনিয়া, ভাইপোলার ডিজঅর্ডার, অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিসঅর্ডারসহ অনেক জটিল মানসিক রোগে পরিণত হতে পারে। আক্রান্ত রোগী ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে একটি জগৎ তৈরি করে ফেলে। সে মনে করে মানুষটি আমি ব্যতীত অন্য কারো হতেই পারে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভালোবাসার মানুষটি সহযোগিতা না চাইলেও সে সবার আগে সহযোগিতার জন্য হাত বাড়ায়। সে তাকে সদা সর্বদা আগলে রাখার চেষ্টা করে, যা তার ভালোবাসার মানুষটির জন্য বিব্রতবোধ হওয়ার কারণও হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি যেকোনো ছোট বিপদে ভালোবাসার মানুষটির জন্য অধিক বিচলিত থাকে, তাকে নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকে। এই বিষয়টি এমন যে, ভালোবাসার মানুষটিকে মাথায় রাখবে না কোথায় রাখবে ভেবে কুল পায় না। আক্রান্ত ব্যক্তি ভালোবাসার মানুষটিকে তার পৃথিবী মনে করে। সব সময় উৎকণ্ঠায় থাকে যে, মানুষটি কখন যে হারিয়ে যাবে। ভালোবাসার মানুষটি আঘাত করলে আত্মহত্যা করেও বসতে পারে। এই ধরনের রোগীকে ভালোবাসার মানুষটি দীর্ঘদিন অপেক্ষায় না রাখাই ভালো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রেমকে পরিণয়ে পরিণত করা শ্রেয়। ধরনের রোগী অনেক সময় দেখা যায় ভালোবাসার মানুষটির জন্য ১৫ বছর, ১৭ বছর এমনকি আজীবনও অপেক্ষায় থাকে। কেউবা একপলক দেখে পরবর্তীতে তাকে একযুগ খুঁজতে থাকে, যা অন্যদের নিকট পাগলামি মনে হলেও তার নিকট এটাই স্বাভাবিক। এরা কখনো বহুগামী হয় না, এক নারীতে আসক্ত থাকে। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন মা তার সন্তানের প্রতি এত বিচলিত থাকে কেন, কারণ সন্তানকে সে গর্ভে ধারণ করে দীর্ঘদিন লালনপালন করে, সন্তানটি ভালো হোক বা মন্দ হোক মায়ের নিকট সে অমূল্য রতন। তেমনি ধরনের প্রেমিক যারা একবার বা কয়েকবার দেখেই একযুগ বা তার বেশি সময় ভালোবাসার মানুষটিকে তার মগজে, মন-মননে, শরীরের শিরা-উপশিরায় লালনপালন করে। দেখা যায় ওই গর্ভধারিণী মা তার সন্তানকে নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে বকাঝকা করে। কিন্তু এই ধরনের প্রেমিক জীবনে ঝুঁকি নিয়েও ভালোবাসার মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে আগলে রাখে। উহ শব্দটিও উচ্চারণ করে না ভালোবাসার মানুষটির ভুলের জন্য। যাবৎ ধরনের তীব্রভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আমি খুবই যোগ্য হতে দেখেছি। সাধারণ মানুষ সাধারণত এত তীব্রভাবে আক্রান্ত হয় না, কারণ তারা কিছুদিন অপেক্ষা করে বহুগামী হয়। যোগ্য আইকনিক ব্যক্তিগণ এক্ষেত্রে বেশি ভুক্তভোগী হয়, কারণ তারা বহুগামী হতে পারে না। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হওয়ার কারণে তারা একজনকে নিয়ে মেতে থাকে। তবে ভালোবাসার মানুষটি যথাযথভাবে সহযোগিতা করলে এটা রোগব্যাধি নয়, বরং উপভোগ্য।

ধরনের রোগী ভালোবাসার মানুষটির নিকট যত বেশি অবহেলার শিকার হবে এবং দিন যত গড়াবে তত বেশি সে আরো বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠবে। দ্বিতীয় পক্ষ বিষয়টি মন থেকে উপলব্ধি করে সহযোগিতা করলে সহজ সমাধান মিলবে। তবে ধরনের ব্যক্তির সাথে ঐশ্বরিক সহযোগিতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়। কারণ একজন মানুষ তার ভালোবাসার মানুষটির জন্য পনের বছর অপেক্ষায় থাকার পর স্বাভাবিকভাবে মেয়েটি সিঙ্গেল না থাকা স্বাভাবিক। এসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগই দেখা যায় ভালোবাসার মানুষটিও অদ্যাবধি সিঙ্গেল। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা তাকে সহযোগিতা করার জন্যই দ্বিতীয় পক্ষকে এখনো সিঙ্গেল রেখেছেন।

ছেলেটি এলিট শ্রেণির হলে সে মেয়েটির পথ আগলে দাঁড়াতে সক্ষম হবে না এবং তার বাড়ির পাশে কখনো ঘুর ঘুর করবে না। তবে সে সামাজিকমাধ্যমে অধিক পরিমাণ যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে পারে অথবা আর অবস্থা বেগতিক দেখে তার আত্মীয়স্বজন অথবা বন্ধুবান্ধব তার পক্ষে অধিক যোগাযোগ করতে পারে, যা ধৈর্য ধারণ করে দ্বিতীয় পক্ষের উচিত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সহযোগিতা করা। তবে উভয়পক্ষের যদি সদিচ্ছা থাকে পুরো বিষয়টিকে উপভোগ্য করতে পারে। দ্বিতীয় পক্ষ জটিলতা বা কুটিলতা অথবা অযাচিত প্রতিবন্ধকতার পথ বেছে নিলে বাধে যত বিপত্তি। দ্বিতীয় পক্ষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য যদি হয় জটিল প্রকৃতির, তবে সহজ সরল প্রেমিক ছেলেটির জন্য বিষয়টি অবশ্যই মরণঘাতী সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। কারণ এই ধরনের প্রেমিক সাধারণত সরল প্রকৃতির হয়। ধরনের রোগীকে কখনো আটকে রাখা সম্ভব হয় না। যে যত বড়, আর তার ভালোবাসাও তত বড় হয়। দ্বিতীয় পক্ষের উচিত বিষয়টিকে অহেতুক ডিস্টার্বিং মনে না করা, অর্থাৎ উপভোগ্য করা। কোনো অবস্থাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অথবা অন্য কোনো যোগাযোগমাধ্যমে ব্লক সৃষ্টির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে হিতে বিপরীত হবে, সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করবে। প্রেমিক ছেলেটি হার্ট অ্যাটাক অথবা ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যেতে পারে। সে যোগ্য ব্যক্তি হওয়ায় তার মাথায় কাজ করবে যে, আমি এতটা খারাপ যে কারণে আমাকে ব্লক করছে। কারণ অতীত জীবনে তাকে হয়তো জীবনে কেউ ব্লক করেনি। এই ধরনের রোগী সাধারণত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মেধাবী, রাজা, বাদশা, সম্রাট রাষ্ট্রপ্রধানরাও আক্রান্ত হয়। বর্তমান বিশ্বে শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অনেকে রোগে আক্রান্ত হতে শোনা যায়।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচিত এক ব্যক্তির অবসেসিভ লাভ ডিসঅর্ডার রোগে আক্রান্ত হওয়া প্রেমিক যুবকের কিছু ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য নিম্নে তুলে ধরা হলো:

মনোবিজ্ঞানীদের পাইন্ডিং অনুযায়ী কোনো এক শীতের শিশির মোড়ানো সকালে হাইস্কুল পড়ুয়া উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের বালিকাকে দেখে প্রেমে পড়ে। বালিকার মধ্যে সে মহা মায়া খুঁজে পায়। অর্থাৎ সে ওই বালিকার প্রেমে কুপোকাত। রোগীর ভাষ্য অনুযায়ী তার অপেক্ষা ১৩ বছর বললেও বছর মাস হিসাব করে দেখা যাচ্ছে প্রায় ১৬ বছর তার অপেক্ষা। আসলে দীর্ঘদিন কোনো বিষয় কোনো মানুষ ধারণ করলে এটা অন্তরে গেঁথে যায়। রক্তের শিরায় শিরায় এটা প্রবাহিত হয়। তখন সমস্যা হতে বের হওয়া প্রকৃতপক্ষেই কঠিন হয়ে পড়ে। অর্থাৎ দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়। এই রোগী একজন ধর্মপ্রাণ, সহজ সরল, অধূমপায়ী, সকল ধরনের নেশা হতে মুক্ত, সৎ, নিষ্ঠাবান উল্লেখযোগ্য মেধাবী হলেও কেবলমাত্র একজন মানুষকে পাগলের মতো ভালোবাসার কারণে এবং ভালোবাসার মানুষটি হতে সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে তাকে মেডিসিন ইনজেকশন ব্যবহার করে ঘুম পাড়াতে হয়, যা আদৌ কাম্য হতে পারে না। অথচ একটু সহযোগিতার হাত বাড়ালে পরিণতি হতে মুক্তি পাওয়া যেত। মানুষটি স্বাভাবিক জীবন পেত। আমরা পৃথিবীর মানুষ নিজের সন্তানকে যেভাবে দেখি, অন্যের সন্তানকে একইভাবে দেখলে পৃথিবীটা কতটা সুন্দর হতো। মানুষটির প্রতি একটু ভালোবাসা ব্যতীত আর কিছুই চাওয়া পাওয়ার নেই। ধরুন একটা মানুষ বিশাল গাছে আরোহণ করল, হঠাৎ ওই গাছ হতে সে পড়ে গেলে বাঁচার সুযোগ খুব কমই থাকে। এক্ষেত্রে তার সমস্যা এরকমই হয়েছে।

যুবক তার বয়স অনুযায়ী যে কাজ করে থাকে, তা কয়েক গুণ বেশি। যেমন ধরুন একজন সচিব নীতি-নির্ধারণী ব্যক্তি ভারতীয় উপমহাদেশে সাধারণত পঞ্চাশ-ঊর্ধ্ব হয়ে থাকে। যুবক খুবই কম বয়সে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং কাজ সে করে থাকে। তাকে অনেক বিষয়ে নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। অবস্থায় কোনো মিটিংয়ের মাঝখানে তার ভালোবাসার মানুষটি মগজে চলে আসে, তখন সে কথা বলতে না পারলে লা জওয়াব, হতভম্ব হয়ে যাওয়া, এমনকি জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়ে যায়। যুবকের ডায়াগনস্টিক সকল রিপোর্টই নরমাল। যুবকটি মনোবিজ্ঞানীদের পাইন্ডিং অনুযায়ী দীর্ঘ ১৬ বছর অপেক্ষার পর গত তিন অক্টোবর তার বহুল প্রত্যাশিত ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়। যুবক তার কাক্সিক্ষত ভালোবাসার মানুষটির কিছু কাজ নিয়েও বিপত্তির মধ্যে পড়ে, যেমন লাঞ্ছিত হওয়া, অপমান অপদস্থ হওয়াসহ বিভিন্ন অনাকাক্সিক্ষত ক্ষতির মধ্যে পড়া, যা সে পূর্ববর্তী জীবনে কখনো পড়েনি। এতে সে মেয়েটির প্রতি আরো বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে। গত ডিসেম্বরের তারিখ তার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে কোনো ধরনের বিপত্তি ঘটে এবং তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থা হতে উপুড় হয়ে এমন ভাবে পড়ে যান তার নাক এবং মুখ দিয়ে দীর্ঘ সময়ব্যাপী রক্তক্ষরণ হয়। যুবক অচেতন হয়ে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলেই সে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে চায়, কথা বলা সম্ভব না হওয়ায় সে আবার অজ্ঞান হয়ে পড়ে। প্রায় ত্রিশ ঘণ্টা পর পুনরায় তার জ্ঞান ফিরে। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় সে মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়তে পারে। এমনকি যুবকের আইসিইউতেও চিকিৎসা নিতে হয়েছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে এই যুবকের ক্ষেত্রে পরবর্তী জীবনে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে হলে ওই মেয়েটির সহযোগিতা অবশ্যই প্রয়োজন হবে। আমরা অনেকে নিজেকে সব জান্তা বা মহাজ্ঞানী মনে করি এবং অন্যের সমস্যা বোঝার চেষ্টাই করি না, দ্বিতীয় পক্ষ ধরনের হলে বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। লক্ষণ দেখে অনেক কিছু বুঝে নিতে হয়। বোঝাপড়ার জন্যই আমরা শিক্ষিত।

যুবকের জীবন রক্ষার্থে যেসব ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে: বিষয়ে বিশ্বখ্যাত মনোযোগ বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের সবার একই কথা মেয়েটি একটুখানি সহযোগিতার হাত বাড়ালে যুবক শতভাগ সুস্থ থাকার কথা। অবস্থায় মেয়েটিকে বিষয়টি -মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। মেয়েটির প্রতি বারবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যুবক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়ায় মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শে মেয়েটিকে অনুরোধ করা হয়েছে যে, প্রেমিক ছেলেটাকে স্বেচ্ছায় সহযোগিতা প্রদান না করতে সক্ষম হলেও সে যেন বৈধভাবে পার্টটাইম বাসায় বসে মোবাইল ফোন অথবা সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করে হলেও সহযোগিতা করে। এতে সে প্রয়োজন মনে করলে তাকে যথাযোগ্য সম্মানী বা বেতন প্রদান করা হবে। মনোবিজ্ঞানীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুবকের ভালোবাসার মানুষটির উচিত একটা ডেডিকেটেড যোগাযোগমাধ্যম সৃষ্টি করা, যাতে পাগল প্রেমিক যেকোনো সময় তাকে খুঁজে পায়। তবেই অনিবার্য অপরিণামদর্শী পরিণতি হতে রক্ষা করা যেতে পারে।

ধরনের ক্ষেত্রে প্রেমিকের ভালোবাসা কতটা সত্য তা বোঝার জন্য নিম্নের কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:

. এই ধরনের ১৬ বছরের মতো দীর্ঘমেয়াদি অপেক্ষারত প্রেমিকা সাধারণত ব্যতিক্রম চরিত্রের অধিকারী হয়।

. প্রেমিক ছেলেটি সাধারণত এলিট অথবা তুলনামূলক মেধাবী হয়।

. মেয়েটির বয়স ৩০ ঊর্ধ্ব হলেও প্রেমিক ছেলেটি ১৬ বা ১৮ বছরের বালিকা যুবতীর মতোই তাকে ভালোবাসবে।

. প্রেমিক ছেলেটির ভালোবাসা ব্যতীত অন্য কোনো লোভ-লালসা বা মোহ তার মধ্যে কাজ করবে না। কেবল মেয়েটিকে কাছেই পেতে চাইবে।

. এই ধরনের প্রেমিকরা তার ভালোবাসার মানুষটি ডিভোর্স হওয়া, বিধবা অথবা কখনো সন্তান হবে না এমনটি জানার পরও তাকে বিয়ে করতে চাইবে ভালোবাসায় একটুও কমতি করবে না।

. অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, যৌতুক বা অন্য কোনো সুবিধা এই ধরনের প্রেমিক কখনোই ভালোবাসার মানুষ হতে দাবি করবে না।

. এই ধরনের ব্যক্তি পৃথিবীর সকল মেয়েকে একসঙ্গে দেখলেও কেবলমাত্র তার ভালোবাসার মানুষটি ব্যতীত অন্য কাউকে গ্রহণ করবে না।

. এই ধরনের প্রেমিকদের ক্ষেত্রে তা ভালোবাসার মানুষটির রূপ, সাদা-কালো, চিকন-মোটা অথবা অন্য কোনো বাহ্যিক বিষয় মেটার করবে না।

. ধরনের যুবকরা সাধারণত মায়াজালে আবদ্ধ হয়।

১০. ধরনের প্রেমিকরা সাধারণত তাদের ভালোবাসার মানুষের কোনো ধরনের ক্ষতি দূরের কথা, অন্য কেউ ক্ষতি করতে চাইলেও প্রতিহত করতে বদ্ধমূল থাকবে।

ঘটনাটি ভারতীয় উপমহাদেশের। ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক রোগী মানসিক সমস্যা নিয়ে আমাদের নিকট আসে। এখানে আমরা দেখি প্রেমঘটিত বিষয়গুলোকে অহেতুক জটিল করে ফেলছে। যেমন একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসলে মহাদেশ সাধারণত ভালোবাসার অপরাধে ওই ছেলেটাকে পাত্র হিসেবে গণ্য করা হয় না। যেখানে অন্য মহাদেশে সাধারণত ভালোবাসার মানুষকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। এই উপমহাদেশে অনেকে মনে করে ভালোবাসলো কেন সেজন্য ছেলেটি বা মেয়েটি ডিসকোয়ালিফাইড হয়ে গেল, যা একদমই অনুচিত বলে আমি মনে করি। আমি মনে করি এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

প্রেমিকদের ক্ষেত্রে অনেক ভুল হয় মাপ, অনেক কিছু ছাড়, নীতি গ্রহণ করা উচিত। কাজেই ধরনের প্রেমিককে পাশে রাখা সৌভাগ্য ব্যতীত কিবা হতে পারে। এদের প্রতি সন্দেহ সংশয় দূর করে হাতে হাত রেখে সুন্দর একটি বিশ্বাসযোগ্য পরিবার গড়ে তোলা সত্যি চমকপদ উপভোগ্য। এটা ভালোবাসার মানুষটির অবদানের স্বীকৃতি হতে পারে। আসুন নিজেও ভালো থাকি, অন্যকেও ভালো রাখি। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, এটাই তো মানুষের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।

এমতাবস্থায় ধরনের বিষয়গুলোকে একজন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি ভেবে হলেও প্রকৃত প্রেমিকদের প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেওয়াটাই সুবিবেচক ব্যক্তি মাত্রই উচিত।

লেখক: . সনিশ্রী ওয়াটিংগুরাচাই, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, গ্র্যাজুয়েট: চুলালংকরন ইউনিভার্সিটি, থাইল্যান্ড।

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ, অ্যাডভাইজার: ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি অ্যালকোহল।

অনুবাদক: মো. আব্দুল আলিম

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের বার্ষিক ওরস শুরু শনিবার
আমিরাত সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা 
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ঘোষণা, কত পাবে চ্যাম্পিয়ন দল
সিরাজদিখান থানায় হামলা: ৬০ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেফতার ২ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা