অপরিহার্য একজন ফাতেমা
কারাগারে স্বেচ্ছায় কেউ কারো সঙ্গী হয়েছেন, এ রকম ঘটনা বিরলই বলা যেতে পারে। তবে এ দৃষ্টান্ত রেখেছেন বাংলাদেশের ফাতেমা।
ফাতেমা বেগম বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মী। ২০১৮ সালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে ছিলেন এই বিশ্বস্ত কর্মী । দীর্ঘদিন বেগম জিয়ার সঙ্গে থাকা ফাতেমা এবার লন্ডন সফরেও তার সঙ্গী হয়েছেন।
প্রায় দুই দশক ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন ফাতেমা। ৪০ বছর বয়সী এই নারী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কাজগুলো করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন তার দৈনন্দিন কাজের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ফাতেমার ওপর নির্ভরশীল। তাই দেশের ভেতর তো বটেই, দেশের বাইরে গেলেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকেন ফাতেমা।
২০১৮ সালে প্রথম আলোচনায় আসেন ফাতেমা। বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা হলে তখনকার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ব্যক্তিগত গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে রাখার আবেদন করা হয়।
অনুমতি পাওয়ার পর কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গী হন ফাতেমা। প্রায় ২৫ মাস সেখানে ছিলেন তিনি। বন্দির সঙ্গে গৃহপরিচারিকা থাকা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি থেকেছেন জেলে কিংবা হাসপাতালে।
এর আগে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর যখন গুলশানের কার্যালয় থেকে খালেদা জিয়াকে বের হতে দেওয়া হচ্ছিল, ওই সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের পেছনে পতাকা হাতে দাঁড়ানো ফাতেমাকে নিয়ে অনেকেই কৌতূহল দেখান।
ফাতেমা খুবই স্বল্পভাষী। একবার সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তিনি অনেক দেশে গেছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, দলীয় চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করে থাকেন।
দীর্ঘদিন ধরে দলীয় চেয়ারপারসনের এই কাজগুলো সঠিকভাবে করার কারণে খালেদা জিয়া এখন তার কাজগুলোর ব্যাপারে ফাতেমার ওপর নির্ভর করেন। এ কারণে দৈনন্দিন কাজে সহযোগিতার জন্য তিনি ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার জন্য আবেদন করেছেন।
ফাতেমা বাবা-মার সঙ্গে ঢাকার শাহজাহানপুরে থাকতেন। ফাতেমার সন্তানও থাকেন তাদের সঙ্গে।
(ঢাকাটাইমস/০৮জানুয়ারি/আরবি/এফএ)
মন্তব্য করুন