খানসামায় ভুট্টাক্ষেতে গৃহবধূর মরদেহ, স্বামীর বন্ধু গ্রেপ্তার

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি হাজীপাড়া সংলগ্ন ভুট্টাক্ষেত থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত গৃহবধূর স্বামীর বন্ধু সবুজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৩ সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল ১১টায় র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেঃ সাইফুল্লাহ নাঈম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক সবুজ ইসলাম ওই এলাকার কামারের মোড় এলাকার জাহিদের ছেলে। সে থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি এবং নিহত আনিছা খাতুনের স্বামী মাহফুজ আলমের বন্ধু।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিহত গৃহবধূ চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর এলাকার ইপিজেড এভারগ্রীন কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিসহ অন্যান্য আসামিদের সাথে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মামলার এজাহার নামীয় ১ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমানের সাথে আনিছার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা তাদের পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করে। উক্ত বিয়ে আসামির পরিবার মেনে না নেওয়ায় আসামি ও নিহত আনিছা তার বড় ভাই খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইলিয়াস হাজীপাড়ার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মনিরের বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। কয়েক মাস পরে উভয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। ভিকটিম ও আসামির মধ্যে মনোমালিন্যতা হলে ভিকটিম আনিছা তার বাবার বাসায় চলে যান। পরে গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিসহ অন্যান্য আসামিরা ভিকটিমকে ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাদীর বাসায় এসে ভিকটিমকে নিয়ে যায়। গত ৭ জানুয়ারি সকালে খানসামা থানার গোয়ালডিহি গ্রামের হাজীপাড়া সংলগ্ন একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এই ঘটনায় আনিছার বড় ভাই বাদী হয়ে খানসামা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
খানসামা থানার ওসি নজমূল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, র্যাব কর্তৃক হস্তান্তরিত হত্যা মামলার আসামি সবুজ ইসলামকে শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হবে। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
(ঢাকা টাইমস/১০জানুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন