ক্রীড়াঙ্গনে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন বহাল রয়েছে: আমিনুল হক

ক্রীড়াঙ্গনে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনে অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, ক্রীড়া পরিষদ থেকে শুরু করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং দেশের বিভিন্ন ক্রিকেট-ফুটবল ফেডারেশনগুলোতে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা পরিপূর্ণ ভাবে বহাল তবিয়তে বসে আছে।
শনিবার বিকালে রাজধানী উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে ২৬টি থানা নিয়ে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর তুরাগ বনাম বিমানবন্দর থানার উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আগে সেই আওয়ামী দোসরদের অপসারণ করে নির্মূল করুন। তারপর বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা যে চাওয়া আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ। সেটা বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যমত্যের ভিক্তিতে সিদ্ধান্ত নিবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক বাংলাদেশের জনগণ। কারণ জনগণ হচ্ছে সকল ক্ষমতার উৎস।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যবস্থা নেওয়া এটা আপনার একার বিষয় নয়। সারা বাংলাদেশের মানুষ চায়- আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ। বাংলাদেশে যাতে আর কোনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয়। বাংলাদেশে যাতে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। এটা আপনার একার প্রত্যাশা নয়, এটা সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধারে আওয়ামী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তো ধ্বংস করেছেই, পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে তারা এমনভাবে দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণ করেছে যে, রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়া কোন খেলোয়াড়রা খেলার সুযোগ পায়না। কি দুর্ভাগ্য আমাদের!
বিএনপি এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, তিনি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। সেখানে কোনো প্রকার দলীয় ও রাজনীতিকরণ করা হয়নি। শহীদ জিয়াউর রহমান এর সময়ে বাংলাদেশের মাটিতে এশিয়ান যুব ফুটবল, এমটিসি ক্রিকেট ক্লাব থেকে শুরু করে বাংলাদেশের আইসিসি টেস্ট স্ট্যাটাস বা আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রবর্তন হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করেন সেই সময়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সকলে মিলেই মাঠের যারা ক্রীড়া সংগঠক তাদেরকে নিয়েই দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সাজানো হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, টুর্নামেন্ট কমিটি প্রধান সমন্বয়ক আক্তার হোসেন, মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সমন্বয়ক মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ছাড়াও মহানগর বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, হাজী মো. ইউসুফ, মহানগর বিএনপি সদস্য আলী আকবর আলী, সালাম সরকার, মোতালেব হোসেন রতন, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, এম এস আহমাদ আলী, হান্নানুর রহমান ভূঁইয়া, দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক হেলাল তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি নেতা মো. আব্দুস ছালাম,আলমগীর হোসেন শিশির, উত্তরাপূর্ব থানা যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান রতন, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান প্রমুখ।
এর আগে সকালে মিরপুরের ১০ নম্বরে ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্ট— ইটিসি কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমিনুল হক। এছাড়া সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় উত্তরখানে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/জেবি/এমআর)

মন্তব্য করুন