অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশি চার জেলেকে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর মোহনা সংলগ্ন এলাকা থেকে ট্রলারসহ বাংলাদেশি চার জেলেকে অস্ত্রের মুখে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপ স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এইচ এম সারতাজ বিন সোহরাব।
অপহৃত জেলেরা হলেন টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান (৩০), আব্দু রকিম (২০), মো. জাবের (২৬) ও মো. হাসান (১৬)।
স্থানীয়দের বরাতে লেফটেন্যান্ট সারতাজ বিন সোহরাব বলেন, মঙ্গলবার সকালে শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান তিন জেলেসহ তার নিজের ট্রলার নিয়ে প্রতিদিনের মতো নাফ নদীতে মাছ ধরতে যান। একপর্যায়ে মিয়ানমার দিক থেকে একটি স্পিডবোটে আসা লোকজন অস্ত্রের মুখে তাদের ট্রলারটি জিম্মি করে। পরে জেলেরাসহ ট্রলারটি নিয়ে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলে যায়।
স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি কোস্টগার্ডকে জানায়। লেফটেন্যান্ট সারতাজ বিন সোহরাব বলেন, বিষয়টি কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিজিবি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।
অপহৃতদের উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি নাফ নদীতে কোস্টগার্ড নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ডের এ স্টেশন কমান্ডার।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, সকালে নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় অপহৃত হন জেলেরা। তাদের উদ্ধারে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। তারা ধারণা করছেন, আরাকান আর্মির লোকজন জেলেদের ধরে নিয়ে গেছে।
এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বর নাফ নদী থেকে ১৫টি নৌকাসহ ২০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। বেশ কিছুদিন পর জেলেদের দেশে ফেরত আনা হয়।
মিয়ানমারের সরকারি জান্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রায় এক বছর লড়াইয়ের পর গত ৮ ডিসেম্বের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপ দখলে নেয় আরাকান আর্মি। এরপর তারা বাংলাদেশ সীমান্তে নাফ নদীতে তাদের জলসীমানায় নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/মোআ)

মন্তব্য করুন