প্রধান অতিথি সালাহউদ্দীন আহমদ

গণ-অভ্যূত্থান পরবর্তী দেশের নতুন প্রেক্ষাপটে সারা দেশে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। এর অংশ হিসেবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যটননগরী কক্সবাজারে জেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সমাবেশ। শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধা/গোলচত্বর মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এই সমাবেশ বাস্তবায়ন করতে প্রথম প্রস্তুতি সভা মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নূরুল বশর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না, সহ-সভাপতি যথাক্রমে- এনামুল হক, মমতাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর ইব্রাহিম চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধুরীসহ জেলা বিএনপি ও উপজেলা/পৌরসভা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জেলা অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী প্রস্তুতি সভায় জানান, লক্ষাধিক জনসমাগমের লক্ষ্য নিয়ে সমাবেশটি আয়োজন করা হচ্ছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দীন আহমদ।
সমাবেশকে সফল করতে বুধবার থেকে বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা, গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ করা শুরু হবে। এর মধ্যে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফ, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উখিয়া, মহেশখালী ও মাতামুুহুরী, শনিবার (১৫ ফেব্রয়ারি) চকরিয়া পৌরসভা ও চকরিয়া উপজেলা ও ঈদগাঁও উপজেলায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এসব প্রস্তুতি সভায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
এ ব্যাপারে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজারের এই সমাবেশ শতভাগ সফল করতে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। ইতিমধ্যে ওয়ার্ড পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মাঝে এই খবর পৌঁছে গেছে। দীর্ঘদিন পর এই এমন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ ও আনন্দিত হয়ে উঠেছেন। আশা করছি এই সমাবেশে মাধ্যমে জেলায় বিএনপির রাজনীতিতে একটি মাত্রা সৃষ্টি হবে।’(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন