জবির ভর্তিযুদ্ধে শিক্ষার্থীরা, বাইরে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের সমন্বয়ে গঠিত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে। ‘ডি’ ইউনিটে প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী। এদিন সকাল ও বিকাল দুই শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। ভেতরে স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধতে অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা, আর বাইরে তাদের জন্য অপেক্ষা করছেন অভিভাবকরা। পরীক্ষার হলে তাদের সন্তান কী করছে, প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারছে কি-না সেটি ভেবেই তাদের চিন্তার যেন শেষ নেই। তাদের মধ্যে কেউ গল্প করছেন, আবার কেউ সৃষ্টিকর্তার কাছে করছেন প্রার্থনা। নিজের সন্তান কিংবা ছোট ভাই-বোনের জন্য চিন্তার যেন শেষ নেই তাদের।
শুক্রবার সরজমিনে কথা হয় একজন অভিভাবকের সঙ্গে। যিনি একসময় জগন্নাথ কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তার ছেলে পরীক্ষা দিচ্ছেন শহীদ সাজিদ ভবনের দ্বিতীয় তলায়। তাকে বেশ উদ্বিগ্ন দেখা যায়।
তিনি বলেন, ‘আমি জগন্নাথ কলেজের সাবেক ছাত্র ছিলাম। আমি চাই আমার ছেলেও বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাক। তাকে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছি। ওর পড়াশোনায় কোনো ঘাটতি ছিল না, কিন্তু পরীক্ষা কেমন দিচ্ছে সেটা নিয়েই চিন্তা লাগছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন ওর পরিশ্রমের ফল মেলে।’
জানা যায়, ডি ইউনিট এর পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (আইইআর) কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। দুই শিফটে পরীক্ষা নেওয়া হবে, যেখানে প্রথম শিফট সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় শিফট বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে।
‘ডি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, নৃবিজ্ঞান, লোক প্রশাসন ও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন। ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে মোট ৭২ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সানজিদা ফারহানা জানিয়েছেন, ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক জানান, ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া, অভিভাবকদের জন্য বাহাদুর শাহ পার্কে ৫০০ আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং ওয়াসার ৪টি সুপেয় পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন