রাতে দুবাইয়ে খেলতে নামছে ‘নতুন বাংলাদেশ’ দল

বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাত নারী দলের বিপক্ষে। দুই ম্যাচের প্রথমটিতে রাতে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়। এ ম্যাচ দিয়ে পথচলা শুরু হচ্ছে নতুন বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এই সফর কোচ পিটার বাটলারের জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলারকে বাদ দিয়ে বেশিরভাগ নতুন খেলোয়াড় নিয়ে দল গঠন করেছেন এই ইংলিশ কোচ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের পারফরম্যান্সে অনেক ভালো করছে বাংলাদেশ। তবে সাবিনাসহ সিনিয়র ফুটবলারদের বাইরে রেখে তৈরি করা দল নিজেদের কতটা প্রমাণ করতে পারবে, সেটাই দেখার।
এই ম্যাচ দিয়ে লম্বা বিরতির পর মাঠে নামছে বাংলাদেশ। গত বছর ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে নেপালের বিপক্ষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর আর কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি জাতীয় দলের। চার মাস পর মাঠের নামার প্রস্তুতির জন্য নারী ফুটবল দলের অনুশীলন শুরু হয়েছিল ১৫ জানুয়ারি। তবে পিটার বাটলালের অধীনে অনুশীলনে অংশ নেয়নি ১৮ ফুটবলার। তাই তাদের বাদ দিয়ে যে দল গঠন করা হয়েছে সেই দলকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ই বলা যায়।
নিয়মিত অধিনায়ক সাবিনাসহ সিনিয়র ১৮ জন ছাড়া লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে। সর্বশেষ সাফের দল থেকে ৮ জন আছেন ২৩ সদস্যের নতুন স্কোয়াডে। এই ৮ জনের মধ্যে সাফের একাদশে খেলেছেন শুধু আফঈদা খন্দকার। বাকি ১৫ জনই অনূর্ধ্ব-২০ দলের। যাদের মধ্যে ৯ ফুটবলারের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনও অভিজ্ঞতা নেই। বর্তমান ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩২ আর আমিরাত ১১৬।
একসঙ্গে সব সিনিয়র ফুটবলার ছাড়াই নতুন একটি দল নিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ছিল সাফ চ্যাম্পিয়ন সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ ফুটবলাররা দলে নেই। কোচ সেদিন বলেছিলেন, ভুলে যাও সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা। সাফ চ্যাম্পিয়ন সেটি পুরোনো হয়ে গেছে। সামনের দিকে তাকাও। আগামীতে কীভাবে দেশের ফুটবল এগিয়ে যাবে সে পরিকল্পনা করো।' ২০২৬ সাফের জন্য কোচ টার্গেট করছেন।
সাবিনা বছরের পর বছর টানা অধিনায়ক ছিলেন। তার বদলে নতুন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। তিনিও খুব আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের খেলা নিয়ে থাকতে চান। ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার সিনিয়র ফুটবলারদের টিকটক, রিলস তৈরি করা, খেলার চেয়ে ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকা, এসব কিছু খেলার বাইরে রাখতে চান কোচ পিটার।
বাংলাদেশ-আমিরাত জাতীয় দল কখনো মুখোমুখি হয়নি। তবে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে তিন সাক্ষাতেই জয় বাংলাদেশের। তিনটিই ঢাকায়। ২০১৪ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইয়ে ৬-০, ২০১৮ সালে একই টুর্নামেন্টে ৭-০ এবং ২০১৯ সালে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
(ঢাকাটাইমস/২৬ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন