দৈনিক ‘ভোরের কাগজ’ পত্রিকার মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল

অফিস ও ছাপাখানা বন্ধ এবং প্রচারসংখ্যায় কারচুপির অভিযোগে দৈনিক ‘ভোরের কাগজ’ পত্রিকার সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল করেছে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি)। এর ফলে পত্রিকাটি এখন থেকে কোনো সরকারি দপ্তরের বিজ্ঞাপন কিংবা নিউজপ্রিন্ট কোটা পাওয়ার যোগ্য হবে না।
বুধবার তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক (বিজ্ঞাপন ও নিরীক্ষা) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
২০ জানুয়ারি 'ভোরের কাগজ' কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১২ ধারা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসন হওয়ায় ২৭ মার্চ আবারও ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয় খুলে দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের সকল সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অবিলম্বে কাজে যোগদানের জন্যও ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল। তবে এরমধ্যে ডিএফপি বন্ধের ঘোষণা এলো।
১৯৯২ সালে ভোরের কাগজের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়।
এদিকে ডিএফপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিদর্শনকালে পত্রিকার অফিসে তালা ঝুলতে দেখা যায় এবং ছাপাখানায় পত্রিকা ছাপা হয়নি। প্রেসে থাকা ক’টি পত্রিকা দেখে জানতে চাওয়া হলে সংশ্লিষ্টরা জানান, মাত্র ২০০–৩০০ কপি ছাপা হয়। বিল সংক্রান্ত কোনো প্রমাণও দেখাতে পারেননি তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের কার্যক্রম ‘সংবাদপত্র ও সাময়িকীর মিডিয়া তালিকাভুক্তি ও নিরীক্ষা নীতিমালা ২০২২’-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একই সঙ্গে ১৯৭৩ সালের ‘ছাপাখানা ও প্রকাশনা আইন’-এর বিধিও লঙ্ঘিত হয়েছে। ফলে নীতিমালার ৮.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পত্রিকাটির তালিকাভুক্তি বাতিল করা হয়। এর ফলে দৈনিক ‘ভোরের কাগজ’ এখন থেকে কোনো সরকারি দপ্তরের বিজ্ঞাপন কিংবা নিউজপ্রিন্ট কোটা পাওয়ার যোগ্য হবে না।
(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/এসএস/এমআর)

মন্তব্য করুন