গাজীপুরে গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় বলাৎকারের অভিযোগে গণপিটুনির শিকার ইমাম রইজউদ্দিন অসুস্থ হয়ে কারাগারে মারা গেছেন।
সোমবার সকালে জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের মসজিদ ইমাম রইজউদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত ইমাম রইজ উদ্দিন খোকন (৩৫) চাঁদপুর মতলব থানার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। গাজীপুর মহানগরীর ঝাজড় এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
রইজ উদ্দিনের স্ত্রী সাজেদা বেগম বলেন, মসজিদে দুইটি পক্ষ রয়েছে। তাদের বিরোধ চলছিল। রইজ উদ্দিন খোকন ছিলেন সুন্নি এবং যার মাধ্যমে ওই মসজিদে নিয়োগ হয় সেও সুন্নি। কিন্তু ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষ আহলে হাদিস অনুসারী। তাই তারা রইজ উদ্দিন খোকনের ওয়াজ পছন্দ করতেন না। তাই চক্রান্ত করে মারধর করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমিরুল ইসলাম জানান, ছেলে শিশু ও কিশোরদের ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার সকালে স্থানীয়রা হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব রইজ উদ্দিনকে আটক করে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। এসময় এলাকাবাসী তার গলায় জুতার মালা দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ইমাম রইজ উদ্দিনকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে নির্যাতিত এক কিশোরের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে রাতেই গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। রাত ৩টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার সকালে মরদেহ ওই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, রইজ উদ্দিনের শরীরে পাবলিক অ্যাসল্টের চিহ্ন ছিল। রাত ৩টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
(ঢাকা টাইমস/২৮এপ্রিল/এসএ)

মন্তব্য করুন