‘মোরাগ করিডোর' নিয়ন্ত্রণ করার পর রাফাহ ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুক্রবার জানিয়েছে যে তারা তাদের নতুন প্রতিষ্ঠিত ‘মোরাগ করিডোর’ এলাকা দখল সম্পন্ন করেছে, যা গাজা স্ট্রিপের সর্বদক্ষিণের রাফাহকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বাকি অংশ থেকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রেডিও জানিয়েছে, বাহিনী মোরাগ করিডোর এলাকার নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ করেছে, যা গাজা-মিশর সীমান্ত এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উপকণ্ঠের মধ্যে বিস্তৃত।
এটি আরও যোগ করেছে যে রাফাহ সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলি বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রেডিও উল্লেখ করেছে, সেনাবাহিনী পরবর্তী পর্যায়ে মোরাগ করিডোর এলাকার নিয়ন্ত্রণ স্থিতিশীল করবে এবং রাফার অভ্যন্তরে অগ্রসর হবে যাতে এটিকে তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ‘সীমান্ত বাফার জোন’ করা যায়।
ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ বুধবার জানিয়েছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সমগ্র রাফাহকে সীমান্ত বরাবর নির্মিত একটি বাফার জোনে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। এলাকাটি ৭৫ বর্গকিলোমিটার (২৯ বর্গমাইল) বা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ জুড়ে রয়েছে।
দক্ষিণে ফিলাডেলফি করিডোর এবং উত্তরে মোরাগ রুটের মাঝামাঝি অবস্থিত এই এলাকাটি ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি আক্রমণ শুরু হওয়ার আগে দুই লাখ ফিলিস্তিনি বাস করত।
১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তি ভেঙে ১৮ মার্চ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় নতুন করে আক্রমণ শুরু করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সামরিক অভিযানের ফলে ছিটমহলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ছিটমহলে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও। সূত্র আনাদুলো।
(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/এফএ)

মন্তব্য করুন