কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধান বাতিলের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আইন করে কুইক রেন্টালে যে দায়মুক্তি দিয়েছিল, অধ্যাদেশ করে সেই বিধান বাতিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তবর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয়। এসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। এ নিয়ে জোরালো সমালোচনা রয়েছে।
পরে এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে ২০১০ সালে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’ প্রণয়ন করা হয়। শুরুতে দুই বছরের জন্য এ আইন করার কথা বলা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়।
এদিকে এক রিট আবেদনের রায়ে গত ১৪ নভেম্বর এ সংক্রান্ত আইনের দায়মুক্তির দুটি ধারা বাতিল ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পুরো কার্যক্রম পরিচালনায় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দেন আদালত।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা-৬ এর অধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনমনে প্রবল বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে এবং গত ১৪ নভেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা ৬(২) ও ধারা ৯ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশন নং ১০৩৭৮/২০২৪ এর আদেশ দ্বারা অবৈধ ঘোষণা করেছে।
এতে বলা হয়, উপরিউক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনায় রেখে জনস্বার্থে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্রয় ও সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ রহিতকরণের নীতিগত ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/ডিএম)
মন্তব্য করুন