কদমতলীতে গলায় ফাঁস দিয়ে মা-মেয়েকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

রাজধানীর কদমতলীতে মা ও শিশুকন্যাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার ১৫ বছর পর আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রবিবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নার্গিস ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মো. আল আমিন, মো. মিরাজ মোল্লা ও নুর আলম।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আল আমিন ও মিরাজ মোল্লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে নুর আলম মামলার শুরু থেকেই পলাতক। তার অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলেছে এবং আজ তার বিরুদ্ধেও সাজা পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পারিবারিক কলহে গলাটিপে হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়, পারিবারিক কলহের জেরে ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। ২০১০ সালের ৮ মে গলায় ফাঁস ও হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাদের। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভিকটিম ইয়াসমিনের স্বামীর আগের স্ত্রী ও অন্য সহযোগীদেরও সম্পৃক্ততা ছিল বলে মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে।
ঘটনার দিনই কদমতলী থানায় নিহত ইয়াসমিনের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান।
দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও সাক্ষীদের জেরা শেষে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আজ রায় ঘোষণা করেন।
এই রায়ের মাধ্যমে ভিকটিম পরিবার ন্যায়বিচারের এক ধাপ সামনে এগোল বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম তুষার।
(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/এলএম)

মন্তব্য করুন