আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের সঙ্গে বঙ্গভবনের কোনো সম্পর্ক নেই!

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ মে ২০২৫, ১৪:০৮| আপডেট : ০৯ মে ২০২৫, ১৫:০৪
অ- অ+

সাবেক রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়ে বঙ্গভবনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে নিশ্চিত হয়েছে ঢাকা টাইমস।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক রাষ্ট্রপতির ঢাকা ইমিগ্রেশন পার হওয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গভবনের হস্তক্ষেপ ছিল বলে কেউ কেউ যে প্রচার করছেন তার প্রেক্ষিতে ঢাকা টাইমস সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিস্তারিত খোঁজ নেয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের কারো সঙ্গেই বঙ্গভবনের কোনো যোগাযোগ ৭ ও ৮ মে আদৌ হয়নি বলে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছে ঢাকা টাইমস। তাই সাবেক রাষ্ট্রপতির থাইল্যান্ড যেতে দেশ ছাড়ার অনুমতি দিতে বঙ্গভবন যে বৃহস্পতিবার রাতে হস্তক্ষেপ করেছে সেটার কোনো সত্যতাও পাওয়া যায়নি। বঙ্গভবনের একাধিক সূত্রও ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছে, আব্দুল হামিদের দেশ ছাড়ার বিষয়ে বর্তমান রাষ্ট্রপতির কোনো সম্পর্কই নেই। অন্যদের মতো বঙ্গভবনও গণমাধ্যমে সংবাদ দেখে বিষয়টি অবগত হয়।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ৩টা ৫ মিনিটে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান। তার দেশত্যাগের এই খবরে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এমনকি এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান নিজের ফেসবুক আইডিতে আব্দুল হামিদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গভবনের হস্তক্ষেপের বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কিশোরগঞ্জে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নাম উল্লেখ থাকলেও তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল না। এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষও তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে। তারা বলছে, মূলত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন আব্দুল হামিদ। দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে যেতে দেওয়া হয়েছে।

তবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পুলিশ তিনজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এমনকি কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জের হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজহারুল ইসলামকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ দেশে থাকাকারে তাকে নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি যতটা তিনি দেশ ছাড়ার পরে হচ্ছে। এর পেছনে আসলেও কোনো রহস্য আছে কিনা সেটাও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন।

এদিকে গত ১৪ জানুয়ারি ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিশোরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন তহমুল ইসলাম নামের এক তরুণ।

আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ ইস্যুতে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “যারা আব্দুল হামিদকে দেশত্যাগে সহযোগিতা করেছেন তাদের শুধু পদত্যাগ না, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। যদি তাদের শাস্তির আওতায় আনতে না পারি তাহলে আমি পদত্যাগ করে চলে যাব।

তার এই বক্তব্যের পরপরই অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মতিউর রহমান শেখকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন এবং পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের সরানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৯মে/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ডিএনসিসির মহাখালী হাসপাতালে হিটস্ট্রোক সেন্টারের উদ্বোধন, মিলবে বিনামূল্যে চিকিৎসা
সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা জারী 
রাজনৈতিক দলের বিচারের বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত: চিফ প্রসিকিউটর
হবিগঞ্জে দুই এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫০
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা