স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে দেনা মেটাতে দুই শিশুকে হত্যা করা হয়
স্বর্ণালঙ্কারই কাল হয়ে দাঁড়ালো চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্কুল পড়ুয়া দুই শিশুর। ধারের টাকা মেটাতে শিশুদের স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে পরে তাদের হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে দেয়া গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি লাকী বেগমের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বুধবার বিকেলে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে লাকীকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল অধিকারীর খাসকামরায় প্রধান আসামি লাকী বেগম দুই শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
জেলা পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম বুধবার রাতে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে লাকী বেগম উল্লেখ করেন, সে ঋণগ্রস্থ হওয়ায় সে তার মেয়ে ইলার বান্ধবী প্রতিবেশী মেঘলার গলার স্বর্ণের তাবিজ ও কানের দুল এবং মালিহার গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার লোভে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ইলার বান্ধবী হওয়ার কারণে মেঘলা এবং মালিহা প্রতিদিন একসঙ্গে খেলাধূলা করতো। আর এ সুযোগে গত রবিবার তাদের দুইজনকে লাকী বেগম বাড়িতে নিয়ে আসে। রাতে তাদের একসঙ্গে নিয়ে ঘুমায়। একপর্যায়ে মেঘলার গলায় স্বর্ণের তাবিজ ও কানের দুল এবং মালিহার গলার স্বর্ণের চেইন খুলে স্থানীয় স্মৃতি জুয়েলার্সে (১২ আনা দুই রতি) ২১ হাজার টাকায় বিক্রি করে এবং পাঁচ জনের দেনা পরিশোধ করেন।
সোমবার রাত সাড়ে সাতটার সময় মেঘলা এবং মালিহাকে বক্স খাটের ভেতরে রেখে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলে। পরে লাশ দুটি বস্তাবন্দী করে রাখে। এদিকে, বুধবার ওই দুই শিশুর ময়নাতদন্ত শেষে মেহজাবিন আক্তার মালিহার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার পর তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
অপর শিশু সুমাইয়া খাতুন মেঘলার বাবা বিদেশে থাকায় তার লাশ সদর হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। শিশু দুইটির পরিবারসহ এলাকায় চলছে এখন শোকের মাতম।
(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)