ধর্ষণচেষ্টার মিথ্যা মামলা: বাদীর এক বছরের সাজা
ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে এক জনকে ফাঁসানোর দায়ে এক নারীকে সাজা দিয়েছে আদালত। এক বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদ-ও দিতে হবে। সেটি না দিলে আরও এক মাস বাড়তি কারাভোগ করতে হবে তাকে।
রোববার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজীনা ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত নারী ফিরোজা বেগম ফিরু ঢাকা জেলার দোহার থানার পূর্ব লটাখোলা গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের স্ত্রী। রায়ের পর ওই নারী আপিলের শর্তে জামিনের প্রার্থনা করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আলী আসগর স্বপন বলেন, মিথ্যা মামলার জন্য সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু আদালত তাকে সে সাজা দেয়নি।
মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, দণ্ডিত ফিরোজা বেগম ২০১২ সালের এপ্রিলে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন। তিনি দাবি করেন, ২০১২ সালের ১৮ মার্চ দোহারের লটাখোলা গ্রামের নারায়ণ দাসের পাকা ভবনের পেছনে ধষর্ণের চেষ্টা করা হয়। মামলায় পূর্ব লটাখোলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন গোপাল, মিন্টু এবং আলামকে আসামি করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে দোহার থানা ৪(৪) ১২ নম্বর এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে মামলাটি। পরে তদন্ত শেষে পুলিশ মিথ্যা মামলা হিসাবে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে ২০১২ সালের ২০ মে ট্রাইব্যুনালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই সঙ্গে বাদিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়।
পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদীর সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মিথ্যা মামলা করেন। ওই বছর ১৬ জুলাই ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন গ্রহণের পর আসামিরা বাদীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় পাল্টা মামলা করেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষতি সাধনের অভিযোগে রোববার বিচারক কারাদ- প্রদান করলেন।
ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/ডব্লিউবি