যশোরে হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২০:৩৯

যশোর মণিরামপুরের কুমারঘাটা গ্রামের খেজের আলী তরফদার হত্যা মামলায় সর্বহারা পার্টির ছয় সদস্যকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকালে এক রায়ে স্পেশাল জজ (জেলা জজ) ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ সাজা দিয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোরের কেশবপুরের কাকবাধাল গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে হায়দার আলী, ময়নাপুর গ্রামের মৃত সুধীর মণ্ডলের ছেলে ডাক্তার তুষার মণ্ডল, আড়ুয়া গ্রামের সনাতন ওরফে সোনা মালীর ছেলে হিরামন মালী, মৃত সতীশ মণ্ডলের ছেলে সুকৃতি মণ্ডল, খুলনা ডুমুরিয়া থানার ময়না গ্রামের শিব মণ্ডলের ছেলে প্রিতিশ মণ্ডল, বরাতিয়া গ্রামের ফনি সরদারের ছেলে প্রশান্ত ওরফে প্রো ওরফে প্রোকবির।

সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন স্পেশাল পিপি এসএম বদরুজ্জামান পলাশ।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই রাতে খেজের আলী তরফদারের বাড়ির সকলে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আসামিরা তার বাড়িতে আসে। আসামি সুকৃতি মণ্ডল তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। কথা বলার এক পর্যায়ে আসামিরা তাকে তাদের সঙ্গে যেতে বলে। খেজের আলী যেতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় খেজের আলীর চিৎকারে বাড়ির সকলে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। এরই মধ্যে আসামিরা তাকে ধরে নিয়ে রাস্তার উপর কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে মাসুদ রেজা বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে মণিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এ মামলার তদন্তকালে পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হায়দার আলীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার ও অপর হত্যাকারীদের নাম উল্লেখ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, জুলফিকার আলী ভুট্টো ও প্রোকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি, সুকৃতিকে চাঁদা না দেয়ায় সর্বহারা পার্টির লিডারের নির্দেশে খেজের আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ৭ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক।

দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। মামলার আসামি জুলফিকার আলী ভুট্টোর মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয় এ হত্যা মামলা থেকে। সাজাপ্রাপ্ত সুকৃতি মণ্ডল, হিরনময় মালী ও প্রশান্ত ওরফে প্রো পলাতক রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :