গ্রেপ্তার হতে পারেন সাবেক সাংসদ কাদের খান

প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে
 | প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:০১

গ্রেপ্তার হতে পারেন জাতীয় পার্টি নেতা গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) নির্বাচনী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খান। বগুড়া শহরে তার গরীবশাহ ক্লিনিক ও বাড়ি ঘিড়ে রেখেছে পুলিশ। গত প্রায় ১০০ ঘণ্টা ধরে পুরিশ তার বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিয়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে আজ রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। সোমবার সকাল থেকেই এমন খবর বগুড়া শহরে ছড়িয়ে পড়লে মিডিয়াকর্মীরাও তার বাড়িতে পুলিশের সাথে অবস্থান নেন।

জানা গেছে, বগুড়া শহরের রহমাননগর জিলাদারপাড়া এলাকায় অবস্থিত ডা. কাদের খানের মালিকানাধীন একটি ক্লিনিকের নাম ‘গরীব শাহ ক্লিনিক’। ক্লিনিক এবং বাসস্থান একই ভবনে। ক্লিনিকের চারতলায় সপরিবারে বাস করেন জাতীয় পার্টির এই নেতা। তার স্ত্রী ডা. জে ইউ নাসিমাও একজন চিকিৎসক।

কেন এই পুলিশি তৎপরতা তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি দায়িত্বশীল কারও কাছ থেকে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে হঠাৎ করেই পোশাকধারী পুলিশের সংখ্যা বেড়ে যায় তার বাসভবন ঘিরে। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে ওই ভবনের আশপাশের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয় সাদা পোশাকের পুলিশের পাশাপাশি পোশাকধারী পুলিশ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা সেখানে অবস্থান করছিলেন। ভবনের ভেতরে এবং বাইরে সাদা পুলিশের পাশাপাশি পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদেরও অবস্থান করতে দেখা গেছে।

পুলিশের নজরবন্দি তথা গৃহবন্দী ডা. কাদের গত শনিবার সকালে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানোর পরপরই ডা. কাদেরের বাসভবনের সামনে পুলিশ প্রত্যাহার কিংবা তাদের সংখ্যা কমানো হতে পারে , এমনটি ধারণা করা হলেও বাস্তবে তা হয়নি।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়া হলেও কৌশলগত কারণে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাকে নজরবন্দি করে রাখা হতে পারে। কিন্তু সেটিও হয়নি। সোমবার এলাকায় রটে যায় এবার গ্রেপ্তার হচ্ছেন কর্নেল (অব.) কাদের ।

এদিকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের সন্ধিগ্ন আসামি হিসেবে তার নাম পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। শহরময় এখন একটিই প্রশ্ন-কখন গ্রেপ্তার হচ্ছেন কর্নেল কাদের? না এ খবর লেখা পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। তবে শেষ খবর পর্যন্ত সেখানে মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়নি।

জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল কাদের খান ২০০৮ সালে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ওই দলের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ‘নির্বাচনে’ আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেই আসনে নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নৃশংসভাবে নিজ বাড়িতে খুন হলে ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে ওই আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে এবং আগামী ২২ মার্চ ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।

ওই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তিনিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :