কঠিন চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ

১৬০ রানের মধ্যে টার্গেট রাখতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দিলরুয়ান পেরেরা- লাকমাল দশম উইকেট জুটির বীরত্বের কাছে হিসেব পাল্টে গেছে বাংলাদেশের। শেষ দিকে তাদের ৮০ রানের ‘বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙা’ পার্টনারশিপ টাইগারদের পথ অনেকটাই কঠিন করে দিয়েছে।বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়িয়েছে ১৯১, ৭৪ ওভারে। ওভার ব্যাপার না। আসল ব্যাপার হলো, উইকেটে টিকে থাকা।
এই রান কী করতে পারবে বাংলাদেশ? পরিাস্থতি বিবেচনায় ১৯১ রানকে ছোট স্কোর ভাবার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের জন্য এই রানই বিরাট চ্যালেঞ্জের।
সবার চোখ এখন কলম্বোর পিসারা ওভালের দিকে। উদ্বোধনী জুটির দিকেই আজ তাকিয়ে দল এবং গোটা দেশ।তাদের ভালো শুরুর উপরই নির্ভর করছে অনেক কিছু। কিন্তু এর জন্য তাদের রীতিমত লড়াই করতে হবে।
আশার কথা হলো, দারুণ ছন্দে আছেন এ জুটি। বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও টানা তিন ইনিংসে রানের মধ্যে ছিলেন তামিম- সৌম্য। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন লঙ্কান বোলারদের এতটুকু পাত্তা দেননি। আজ তামিম- সৌম্যের সেই রূপ দেখতে চায় দল।
যদিও রান তাড়া করে খুব বেশি জয়ের নজির নেই বাংলাদেশের। এর আগে দুবার মাত্র রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। তাও লক্ষ্য ছিল ছোট।
রান তাড়া করে প্রথম জয়টা এসেছিল ২০০৯ সালের ২০ জুলাই। গ্রানাডায় সেন্ট জর্জে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২১৪ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছিল ২১৫ রান। বাংলাদেশ করছে ২১৬। সাকিব ছিলেন ৯৬ রানে অপরাজিত।
বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার রান তাড়া করে জিতেছে ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর। মিরপুর শেরেবাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। লক্ষ্য ছিল ১০১। বাংলাদেশ জিতেছিল ৩ উইকেটে।
রান তাড়া করে জয়ের তেমন নজির না থাকলেও চতুর্থ ইনিংসে তিন/চারশ রান করার অনেক নজিরই আছে টাইগারদের।
তাছাড়া পি সারা ওভালের রেকর্ডও সাহস যোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। এখানে সাড়ে তিনশ রান তাড়া করে জয়ের নজির আছে। এ মাঠে এখন পর্যন্ত ১৯টি টেস্ট হয়েছে, যার নয়টিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা, ড্র ৪টি, হার ৬টি।
(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/ডিএইচ)

মন্তব্য করুন